18 তৃতীয় দিনে ইউসুফ তাদের বললেন, “আমি যা বলছি তা কর এবং প্রাণ রক্ষা কর, কারণ আমি আল্লাহ্কে ভয় করি।
19 তোমরা যদি সত্যিই সৎ লোক হও তবে তোমাদের ভাইদের মধ্য থেকে একজন এই জেলখানায় বন্দী থাকুক, আর বাকী সবাই তোমাদের উপবাসী পরিবারের জন্য খাবার নিয়ে চলে যাক।
20 তোমাদের কথা যে সত্যি তা প্রমাণ করবার জন্য তোমাদের ছোট ভাইকে আমার কাছে নিয়ে এস। তা হলেই তোমরা মৃত্যু থেকে রেহাই পাবে।” তারা তাতেই রাজী হল।
21 তারপর তারা একে অন্যকে বলল, “সত্যিই আমাদের সেই ভাইয়ের প্রতি আমরা যা করেছি তাতে আমরা দোষী। সে যখন আমাদের কাছে কাকুতি-মিনতি করছিল তখন তার মনের কষ্ট দেখেও আমরা তার কথায় কান দিই নি। সেইজন্য আমাদের উপর এই কষ্ট এসেছে।”
22 রূবেণ তাদের বলল, “আমি তো তোমাদের বলেছিলাম, ‘তার প্রতি কোন অন্যায় কোরো না,’ কিন্তু তোমরা তা শোন নি। এখন তার রক্তের শোধ দেবার সময় এসেছে।”
23 ইউসুফ যে তাদের কথাগুলো বুঝতে পারছেন তা তারা বুঝল না, কারণ দোভাষীর মধ্য দিয়ে তিনি তাদের সংগে কথাবার্তা বলছিলেন।
24 ইউসুফ তখন তাদের কাছ থেকে সরে গিয়ে কাঁদতে লাগলেন, তারপর ফিরে এসে তাদের সংগে আবার কথা বললেন। তিনি তাদের মধ্য থেকে শিমিয়োনকে বেছে নিয়ে তাদের চোখের সামনেই তাকে বাঁধবার হুকুম দিলেন।