28 জবাবে তারা বলল, “আপনার গোলাম আমাদের পিতা এখনও বেঁচে আছেন এবং ভালই আছেন।” এই বলে তারা মাটিতে উবুড় হয়ে ইউসুফকে সম্মান দেখাল।
29 ইউসুফ চারদিকে চেয়ে তাঁর নিজের ভাই বিন্ইয়ামীনকে দেখে বললেন, “এ-ই কি তোমাদের সেই ছোট ভাই যার কথা তোমরা আমাকে বলেছিলে?” তারপর তিনি বিন্ইয়ামীনকে বললেন, “আল্লাহ্ তোমাকে রহমত দান করুন!”
30 ভাইকে দেখে ইউসুফের অন্তর ভীষণভাবে দুলে উঠল। তিনি একটা কাঁদবার জায়গার খোঁজে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে বের হয়ে গেলেন এবং নিজের কামরায় ঢুকে কাঁদতে লাগলেন।
31 পরে চোখ-মুখ ধুয়ে তিনি বের হয়ে আসলেন এবং নিজেকে সামলে নিয়ে খাবার পরিবেশনের হুকুম দিলেন।
32 পরিবেশনকারীরা ইউসুফকে, তাঁর ভাইদের এবং যে মিসরীয়রা ইউসুফের বাড়ীতে খেত, তাদের আলাদা আলাদা জায়গায় খেতে দিল। মিসরীয়রা ইবরানীদের সংগে খাওয়া-দাওয়া করত না, কারণ সেটা ছিল তাদের কাছে একটা ঘৃণার কাজ।
33 ইউসুফের সামনে তাঁর ভাইদের বয়স অনুসারে পর পর বসানো হয়েছিল। এতে তারা আশ্চর্য হয়ে একে অন্যের মুখের দিকে তাকাতে লাগল।
34 ইউসুফ তাঁর নিজের টেবিল থেকে কিছু কিছু খাবার ভাইদের দেবার ব্যবস্থা করলেন। অন্য যে কোন ভাইয়ের চেয়ে বিন্ইয়ামীনকে পাঁচগুণ বেশী দেওয়া হল। এইভাবে তারা ইউসুফের সংগে খাওয়া-দাওয়া করল। প্রচুর পরিমাণে আংগুর-রস খেয়ে তারা খুশী হয়ে উঠল।