13 পরে দুর্ভিক্ষের অবস্থা এমন ভীষণ হয়ে উঠল যে, সারা দেশের কোথাও আর খাবার রইল না। দুর্ভিক্ষের দরুন মিসর এবং কেনান দেশ একেবারে কাহিল হয়ে পড়ল।
14 মিসর এবং কেনান দেশের লোকেরা যে শস্য কিনল তার দাম বাবদ ইউসুফ ঐ দু’টা দেশে যত টাকা ছিল তা তুলে নিয়ে ফেরাউনের রাজবাড়ীতে জমা দিলেন।
15 যখন মিসর ও কেনান দেশের সব টাকা ফুরিয়ে গেল তখন মিসরীয়রা ইউসুফের কাছে এসে বলল, “আমাদের খেতে দিন। আমরা কি আপনার চোখের সামনেই মারা যাব? টাকা-পয়সা আমাদের যা ছিল সব ফুরিয়ে গেছে।”
16 ইউসুফ বললেন, “তাহলে তোমাদের গরু-ভেড়া সব আমাকে দাও। তোমাদের টাকা যখন ফুরিয়ে গেছে তখন ওগুলোর বদলেই আমি তোমাদের খাবার দেব।”
17 তখন তারা তাদের সব গরু-ভেড়া ইউসুফের কাছে আনতে লাগল। ছাগল, ভেড়া, গরু, ঘোড়া ও গাধার বদলে তিনি তাদের খাবার দিতে লাগলেন। সমস্ত পশু জমা রেখে তিনি গোটা বছরটাই তাদের খাওয়ালেন।
18 সেই বছরটা কেটে গেলে পর তার পরের বছরে লোকেরা এসে ইউসুফকে বলল, “হুজুরের কাছে আমরা লুকাব না যে, আমাদের টাকা-পয়সা সব খরচ হয়ে গেছে, আর আমাদের পশুগুলোও হুজুরের। এখন আমাদের এই শরীর এবং জায়গা-জমি ছাড়া হুজুরকে দেবার মত আর আমাদের কিছুই নেই।
19 তাই জমিসুদ্ধ আমরা সবাই আপনার চোখের সামনেই শেষ হয়ে যাব কেন? সেইজন্য আপনি আমাদের ও আমাদের জায়গা-জমি সব নিয়ে নিন, আর তার বদলে আমাদের খাবার দিন। জায়গা-জমিসুদ্ধ আমরা সবাই ফেরাউনের গোলাম হয়ে থাকব। এর পরে আমরা যাতে মারা না গিয়ে প্রাণে বেঁচে থাকতে পারি সেইজন্য আপনি আমাদের কিছু বীজও দিন। তাহলে আমাদের জমিও নষ্ট হবে না।”