2 আর সেই অনুসারে একটা তাম্বু তৈরী করা হয়েছিল। সেই তাম্বুর প্রথম অংশে থাকত বাতিদান, টেবিল এবং পবিত্র-রুটি। এই প্রথম অংশটির নাম ছিল পবিত্র স্থান।
3 দ্বিতীয় পর্দার পিছনে তাম্বুটির আর একটা অংশ ছিল; তার নাম ছিল মহাপবিত্র স্থান।
4 এই অংশে ধূপ জ্বালাবার জন্য সোনার ধূপগাহ্ ও সাক্ষ্য-সিন্দুক ছিল। তার চারদিক সোনা দিয়ে মুড়ানো ছিল। তার মধ্যে ছিল সোনার পাত্রে রাখা মান্না, হারুনের যে লাঠিতে ফুল ফুটেছিল সেই লাঠিটা, আর ব্যবস্থা-লেখা দু’টা পাথরের ফলক।
5 সেই সিন্দুকের উপরে আল্লাহ্র মহিমায় পূর্ণ দু’টি সোনার কারুবী ছিল। তাদের ডানাগুলো সেই সিন্দুকের ঢাকনার উপরে মেলে দেওয়া ছিল। এই ঢাকনার উপর গুনাহ্ ঢাকা দেওয়া হত। অবশ্য এই সবের খুঁটিনাটির কথা বলা এখন সম্ভব নয়।
6 এইভাবে সব কিছু তৈরী হবার পর ইমামেরা প্রায়ই তাম্বুর প্রথম অংশটিতে ঢুকে আল্লাহ্র এবাদত-কাজ করতেন;
7 কিন্তু দ্বিতীয় অংশটিতে, অর্থাৎ মহাপবিত্র স্থানে কেবলমাত্র মহা-ইমামই ঢুকতেন। বছরে মাত্র একবারই তিনি কোরবানী করা পশুর রক্ত নিয়ে সেখানে ঢুকতেন। তাঁর নিজের গুনাহের জন্য এবং লোকেরা না জেনে যে সব গুনাহ্ করেছে তার জন্য তিনি এই রক্ত কোরবানী দিতেন।
8 এতে পাক-রূহ্ দেখিয়ে দিচ্ছেন যে, যতদিন এই এবাদত-তাম্বুটা থাকবে ততদিন সেই মহাপবিত্র স্থানে ঢুকবার পথ খোলা থাকবে না।