1 ভাইয়েরা, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি হঠাৎ কোন গুনাহে পড়ে যায়, তবে তোমরা যারা পাক-রূহের অধীনে চলাফেরা করছ তোমরা তাকে তুলে এনো। তবে খুব নরম মনোভাব নিয়ে তোমরা এই কাজ কোরো এবং নিজের বিষয় সতর্ক থেকো, যাতে তোমরাও গুনাহে না পড়।
2 তোমরা একে অন্যের ভার বয়ে নিয়ো। এইভাবেই তোমরা মসীহের আইন পালন করতে পারবে।
3 কিছু না হয়েও যদি কেউ নিজেকে বিশেষ কিছু বলে মনে করে তবে তো সে নিজেকে ঠকায়।
4 প্রত্যেকে নিজের কাজ পরীক্ষা করে দেখুক। তাহলে অন্যের সংগে নিজের তুলনা না করে তার নিজের কাজের জন্য সে গর্ববোধ করতে পারবে,
5 কারণ প্রত্যেকেরই উচিত নিজের দায়িত্ব বয়ে নেওয়া।
6 যাকে আল্লাহ্র কালাম শিক্ষা দেওয়া হয় সে যেন তার ওস্তাদকে তার সব ভাল জিনিসের ভাগ দেয়।
7 তোমরা ভুল কোরো না, আল্লাহ্র সংগে তামাশা চলে না; কারণ যে যা বুনবে সে তা-ই কাটবে।
8 গুনাহ্-স্বভাবকে খুশী করবার বীজ বুনলে তা থেকে ধ্বংসের ফসল আসবে। কিন্তু পাক-রূহ্কে খুশী করবার বীজ বুনলে তা থেকে অনন্ত জীবনের ফসল আসবে।
9 আমরা যেন সৎকাজ করতে করতে ভেংগে না পড়ি, কারণ তা ছেড়ে না দিয়ে করতে থাকলে আমরা ঠিক সময়ে তার ফসল পাব।
10 সুযোগ পেলেই আমরা যেন সকলের, বিশেষভাবে আল্লাহ্র পরিবারের লোকদের উপকার করি।
11 দেখ, কত বড় বড় অক্ষরে আমি নিজের হাতে তোমাদের কাছে লিখছি।
12 যারা বাইরে নিজেদের ভাল দেখাতে চায় তারাই খৎনা করাবার জন্য তোমাদের বাধ্য করতে চেষ্টা করছে। মসীহের ক্রুশের জন্য যেন তাদের উপর জুলুম না আসে সেইজন্যই তারা এই রকম করছে।
13 যাদের খৎনা করানো হয়েছে তারাও তো শরীয়ত পালন করে না। তবুও তারা তোমাদের খৎনা করাতে চায় যেন এই বলে গর্ব করতে পারে যে, তোমরাও তাদের দলে এসেছ।
14 হযরত ঈসা মসীহের ক্রুশ ছাড়া আমি যেন আর কিছুতে গর্ববোধ না করি। এই ক্রুশের মধ্য দিয়েই দুনিয়া আমার কাছে মরে গেছে এবং আমিও দুনিয়ার কাছে মরে গেছি।
15 খৎনা করানো বা না করানোর কোন দামই নেই, মসীহের মধ্য দিয়ে নতুন সৃষ্টি হয়ে ওঠাই হল বড় কথা।
16 যারা এই নিয়মে চলে তাদের, অর্থাৎ আল্লাহ্র আসল ইসরাইলীয়দের তিনি শান্তি ও মমতা দান করুন।
17 শেষে বলি, কেউ আমাকে কষ্ট না দিক, কারণ ঈসার আঘাতের চিহ্ন আমি আমার শরীরে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি।
18 ভাইয়েরা, আমাদের হযরত ঈসা মসীহের রহমত তোমাদের দিলে থাকুক। আমিন। ॥ভব