3 কিন্তু বেহেশতে বা দুনিয়াতে কিংবা দুনিয়ার গভীরে কেউই সেই কিতাবটা খুলতে পারল না, ভিতরে দেখতেও পারল না।
4 তখন আমি খুব কাঁদতে লাগলাম, কারণ এমন কাউকে পাওয়া গেল না যে ঐ কিতাবটা খুলবার বা দেখবার যোগ্য।
5 পরে নেতাদের মধ্যে একজন আমাকে বললেন, “কেঁদো না। এহুদা বংশের সিংহ, যিনি দাউদের বংশধর, তিনি জয়ী হয়েছেন। তিনিই ঐ সাতটা সীলমোহর ভেংগে কিতাবটা খুলতে পারেন।”
6 চারজন প্রাণী এবং নেতাদের মাঝখানে যে সিংহাসনটি ছিল তার উপর একটি মেষ-শাবককে আমি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। আমার মনে হচ্ছিল যেন সেই মেষ-শাবককে মেরে ফেলা হয়েছিল। ঐ মেষ-শাবকের সাতটা শিং ও সাতটা চোখ ছিল। আল্লাহ্র যে সাতটি রূহ্কে দুনিয়ার সব জায়গায় পাঠানো হয় এই চোখগুলো ছিল সেই সাতটি রূহ্।
7 পরে সেই মেষ-শাবক এসে যিনি সিংহাসনে বসে ছিলেন তাঁর ডান হাত থেকে কিতাবটা নিলেন।
8 কিতাবটা নেবার পর সেই চারজন প্রাণী ও চব্বিশজন নেতা মেষ-শাবকের সামনে উবুড় হলেন। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে একটা করে বীণা ও একটা করে ধূপে পূর্ণ সোনার পেয়ালা ছিল। সেই ধূপে পূর্ণ পেয়ালাগুলো হল আল্লাহ্র বান্দাদের মুনাজাত।
9 তাঁরা এই নতুন কাওয়ালীটি গাইছিলেন:“তুমিই ঐ কিতাবটা নিয়ে তার সীলমোহরগুলো খুলবার যোগ্য,কারণ তোমাকে মেরে ফেলা হয়েছিল।তুমিই তোমার রক্ত দিয়ে প্রত্যেক বংশ,ভাষা, দেশ ও জাতির মধ্য থেকেআল্লাহ্র জন্য লোকদের কিনেছ।