10 তাঁরা প্রথম ও দ্বিতীয় পাহারাদারদের দল পার হয়ে শহরে ঢুকবার লোহার সদর দরজার কাছে আসলেন। সদর দরজাটা তাঁদের জন্য নিজে নিজেই খুলে গেল এবং তাঁরা তার মধ্য দিয়ে বের হয়ে গেলেন। তাঁরা একটা রাস্তা ধরে হেঁটে চলেছেন এমন সময় ফেরেশতা হঠাৎ পিতরকে ছেড়ে চলে গেলেন।
11 তখন পিতর যেন চেতনা ফিরে পেলেন আর বললেন, “এখন আমি সত্যি বুঝতে পারলাম যে, মাবুদ তাঁর ফেরেশতাকে পাঠিয়ে হেরোদের হাত থেকে এবং ইহুদীরা যা করবার জন্য ষড়যন্ত্র করছিল তা থেকে আমাকে রক্ষা করলেন।”
12 এই কথা বুঝতে পেরে তিনি ইউহোন্নার মা মরিয়মের বাড়ীতে গেলেন। এই ইউহোন্নাকে মার্ক বলেও ডাকা হত। সেই বাড়ীতে অনেকে একসংগে মিলিত হয়ে মুনাজাত করছিল।
13 পিতর বাইরের দরজায় আঘাত করলে পর রোদা নামে একজন চাকরাণী মেয়ে দরজা খুলতে আসল।
14 পিতরের গলার আওয়াজ চিনতে পেরে সে এত আনন্দিত হল যে, দরজা না খুলেই দৌড়ে ভিতরের ঘরে গিয়ে সংবাদ দিল, “পিতর দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন।”
15 তখন উম্মতেরা সেই মেয়েটিকে বলল, “তোমার মাথা খারাপ হয়েছে।” কিন্তু সে বার বার জোর দিয়ে বলাতে তারা বলল, “তবে এ পিতরের রক্ষাকারী-ফেরেশতা।”
16 এদিকে পিতর দরজায় আঘাত করতেই থাকলেন। তখন উম্মতেরা দরজা খুলে পিতরকে দেখে অবাক হয়ে গেল।