26 তখন পৌল সেই লোকদের নিয়ে গিয়ে তাদের সংগে নিজেকেও পাক-সাফ করলেন। পরের দিন তিনি বায়তুল-মোকাদ্দসে গেলেন, আর তাদের পাক-সাফ হবার কাজ কবে শেষ হবে এবং প্রত্যেকের জন্য কবে পশু-কোরবানী দেওয়া হবে তা জানিয়ে দিলেন।
27 পাক-সাফ হবার সেই সাত দিন প্রায় শেষ হয়ে আসলে পর এশিয়া প্রদেশের কয়েকজন ইহুদী পৌলকে বায়তুল-মোকাদ্দসে দেখল। তারা সেখানকার সব লোকদের উস্কিয়ে দিল এবং পৌলকে ধরল।
28 পরে তারা চিৎকার করে বলতে লাগল, “বনি-ইসরাইলরা, এগিয়ে এস। সব জায়গার মানুষের কাছে আমাদের জাতি এবং আমাদের শরীয়ত ও বায়তুল-মোকাদ্দসের বিরুদ্ধে যে লোক শিক্ষা দিয়ে বেড়ায়, এ-ই সেই লোক। তা ছাড়া সে বায়তুল-মোকাদ্দসে গ্রীকদের এনে এই পবিত্র জায়গা নাপাক করেছে।”
29 তারা এই কথা বলল কারণ তারা আগে ইফিষীয় ত্রফিমকে পৌলের সংগে শহরের মধ্যে দেখেছিল। সেইজন্য তারা ভেবেছিল, পৌল ত্রফিমকে বায়তুল-মোকাদ্দসেও এনেছেন।
30 তখন সারা শহর উত্তেজিত হয়ে উঠল। লোকেরা একসংগে দৌড়ে এসে পৌলকে ধরে বায়তুল-মোকাদ্দস থেকে টেনে বের করে আনল এবং সংগে সংগেই বায়তুল-মোকাদ্দসের দরজাগুলো বন্ধ করে দিল।
31 লোকেরা পৌলকে হত্যা করবার চেষ্টা করছিল, এমন সময় রোমীয় সৈন্যদের প্রধান সেনাপতির কাছে খবর গেল যে, সারা জেরুজালেম শহরে একটা হুলস'ূল পড়ে গেছে।
32 সেই প্রধান সেনাপতি তখনই কয়েকজন শতপতি ও সৈন্যদের নিয়ে দৌড়ে ভিড়ের কাছে গেলেন। লোকেরা প্রধান সেনাপতি ও সৈন্যদের দেখে পৌলকে মারা বন্ধ করল।