6 সেই মহাসভার এক দল যে সদ্দূকী ও অন্য দল ফরীশী, এই কথা জেনে পৌল মহাসভার মধ্যে জোরে বললেন, “আমার ভাইয়েরা, আমি একজন ফরীশী ও ফরীশীর সন্তান। আমার বিচার হচ্ছে কারণ আমি বিশ্বাস করি যে, মৃতেরা আবার জীবিত হয়ে উঠবে।”
7 তাঁর এই কথাতে ফরীশী ও সদ্দূকীদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হল। এতে মহাসভার লোকেরা ভাগ হয়ে গেলেন,
8 কারণ সদ্দূকীরা বলেন, “মৃতেরা আর জীবিত হয়ে উঠবে না।” এছাড়া তাঁরা আরও বলেন যে, ফেরেশতাও নেই, কোন রূহ্ও নেই; কিন্তু ফরীশীরা এ সবই বিশ্বাস করেন।
9 তখন ভীষণ গোলমাল শুরু হল এবং ফরীশী দলের কয়েকজন আলেম উঠে খুব জোর তর্কাতর্কি শুরু করে দিলেন। তাঁরা বললেন, “আমরা এই লোকটির কোন দোষ দেখতে পাচ্ছি না। হয়তো কোন রূহ্ বা কোন ফেরেশতা এর সংগে কথা বলেছেন।”
10 সেই ঝগড়া এমন ভীষণ হয়ে উঠল যে, প্রধান সেনাপতির ভয় হল তাঁরা পৌলকে ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করে ফেলবেন। তিনি সৈন্যদের হুকুম দিলেন যেন তারা গিয়ে লোকদের হাত থেকে পৌলকে ছাড়িয়ে এনে সেনানিবাসে নিয়ে যায়।
11 পরদিন রাতে প্রভু পৌলের কাছে দাঁড়িয়ে বললেন, “সাহসী হও, জেরুজালেমে যেমন তুমি আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছ সেইভাবে রোমেও তোমাকে সাক্ষ্য দিতে হবে।”
12 পরদিন সকালবেলা ইহুদীরা একটা ষড়যন্ত্র করল এবং পৌলকে হত্যা না করা পর্যন্ত কিছুই খাবে না বলে কসম খেল।