27 তখন ফিলিপ সেই দিকে গেলেন। পথে ইথিওপিয়া দেশের একজন বিশেষ রাজকর্মচারীর সংগে তাঁর দেখা হল। সেই কর্মচারী ছিলেন খোজা। ইথিওপিয়ার কান্দাকী রাণীর ধনরত্নের দেখাশোনা করবার ভার ছিল এই লোকটির উপর। আল্লাহ্র এবাদত করবার জন্য সেই কর্মচারী জেরুজালেমে গিয়েছিলেন।
28 বাড়ী ফিরবার পথে তিনি রথে বসে নবী ইশাইয়ার কিতাবখানা তেলাওয়াত করছিলেন।
29 তখন পাক-রূহ্ ফিলিপকে বললেন, “ঐ রথের কাছে যাও এবং তার সংগে সংগে চল।”
30 এতে ফিলিপ দৌড়ে সেই রথের কাছে গেলেন এবং শুনতে পেলেন লোকটি নবী ইশাইয়ার কিতাবখানা তেলাওয়াত করছেন। ফিলিপ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি যা তেলাওয়াত করছেন তা বুঝতে পারছেন কি?”
31 সেই কর্মচারী বললেন, “কেউ বুঝিয়ে না দিলে কেমন করে বুঝতে পারব?” তিনি ফিলিপকে রথে উঠে তাঁর কাছে বসতে অনুরোধ করলেন।
32 সেই কর্মচারী পাক-কিতাবের যে অংশটুকু তেলাওয়াত করছিলেন তা এই:জবাই করবার জন্য যেমন ভেড়া নেওয়া হয়,তেমনি তাঁকে নেওয়া হল।লোম ছাঁটাইকারীর সামনে ভেড়ার বাচ্চা যেমন চুপ করে থাকে,তেমনি তিনি মুখ খুললেন না।
33 তিনি অপমানিত হলেন,তাঁর উপর ন্যায়বিচার করা হয় নি।তাঁর বংশের কথা বলা সম্ভব নয়,কারণ তাঁর জীবন এই দুনিয়া থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছিল।