5 যাতে তোমাদের ঈমান মানুষের জ্ঞানের উপর ভরসা না করে আল্লাহ্র শক্তির উপর ভরসা করে।
6 যারা ঈসায়ী জীবনে পরিপক্ক তাদের কাছে অবশ্য আমরা জ্ঞানের কথা বলি; কিন্তু সেই জ্ঞান এই দুনিয়ার নয়, কিংবা এই দুনিয়ার নেতাদেরও নয় যারা ক্ষমতাশূন্য হয়ে পড়ছে।
7 আসলে আমরা আল্লাহ্র জ্ঞানপূর্ণ গোপন উদ্দেশ্যের কথাই বলি। সেই উদ্দেশ্য লুকানো ছিল এবং দুনিয়া সৃষ্টির আগেই আল্লাহ্ তা স্থির করে রেখেছিলেন যেন আমরা তাঁর মহিমার ভাগী হতে পারি।
8 এই যুগের নেতাদের মধ্যে কেউই তা বোঝে নি; যদি তা বুঝত তাহলে সেই মহিমাপূর্ণ প্রভুকে ক্রুশের উপরে হত্যা করত না।
9 কিন্তু পাক-কিতাবের কথামত, “আল্লাহ্কে যারা মহব্বত করে তাদের জন্য তিনি যা যা ঠিক করে রেখেছেন, সেগুলো কেউ চোখেও দেখে নি, কানেও শোনে নি এবং মনেও ভাবে নি।”
10 কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর রূহের মধ্য দিয়ে সেগুলো আমাদের কাছে প্রকাশ করেছেন, কারণ পাক-রূহের অজানা কিছুই নেই; এমন কি, তিনি আল্লাহ্র গভীর বিষয়ও জানেন।
11 মানুষের মধ্যে এমন কে আছে, যে অন্য মানুষের মনের কথা জানতে পারে? মানুষের মধ্যে যে রূহ্ আছে সে-ই কেবল তার নিজের মনের কথা জানে। সেই রকম, আল্লাহ্র রূহ্ ছাড়া আল্লাহ্র মনের কথা অন্য কেউ জানতে পারে না।