1 এবার আমি মূর্তির কাছে উৎসর্গ করা খাবারের বিষয়ে বলছি। আমরা জানি, আমাদের সকলের জ্ঞান আছে। জ্ঞান মানুষকে অহংকারী করে, কিন্তু মহব্বত মানুষকে গড়ে তোলে।
2 যে কিছু জানে বলে মনে করে, সে যেভাবে জানা উচিত সেইভাবে এখনও জানে না।
3 কিন্তু যে আল্লাহ্কে মহব্বত করে আল্লাহ্ তাকে জানেন।
4 এবার মূর্তির কাছে কোরবানী করা খাবার খাওয়ার বিষয়ে বলছি। আমরা জানি, দুনিয়াতে মূর্তি আসলে কিছুই নয় আর আল্লাহ্ও মাত্র একজন ছাড়া আর নেই।
5 বেহেশতে হোক বা দুনিয়াতে হোক, দেব-দেবী বলে যদি কিছু থেকেই থাকে- অবশ্য দেবতাও অনেক, প্রভুও অনেক-
6 তবুও আমাদের জন্য আল্লাহ্ মাত্র একজনই আছেন। তিনিই পিতা; তাঁরই কাছ থেকে সব কিছু এসেছে আর তাঁরই জন্য আমরা বেঁচে আছি। আর প্রভুও আমাদের মাত্র একজন, তিনি ঈসা মসীহ্। তাঁরই মধ্য দিয়ে সব কিছু এসেছে এবং তাঁরই মধ্য দিয়ে আমরা বেঁচে আছি।
7 এই সব জ্ঞান কিন্তু সকলের নেই। মূর্তি পূজার অভ্যাস ছিল বলে মূর্তির কাছে উৎসর্গ করা খাবার এখনও পর্যন্ত কেউ কেউ সেই হিসাবেই খেয়ে থাকে। তাতে তাদের বিবেক দুর্বল বলে নাপাক হয়।
8 কিন্তু খাবারের দ্বারা আমরা আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হই না। আমরা যদি না খাই তবে আমাদের কোন ক্ষতিও হয় না, আর যদি খাই তবে আমাদের কোন লাভও হয় না।
9 তবে সাবধান! যাদের ঈমান দুর্বল, তোমাদের এই স্বাধীনতা তাদের কাছে যেন গুনাহের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।
10 তোমার তো জ্ঞান আছে, কিন্তু যার বিবেক দুর্বল সে যদি তোমাকে দেবতার মন্দিরে বসে খেতে দেখে তবে সেও কি মূর্তির কাছে উৎসর্গ করা খাবার খেতে উৎসাহ পাবে না?
11 সেই দুর্বল লোক, সেই ভাই, যার জন্য মসীহ্ মরেছিলেন, তোমার জ্ঞানের দ্বারাই তার মহা ক্ষতি হয়।
12 এইভাবে তোমরা তোমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে যখন তাদের দুর্বল বিবেকে আঘাত দাও তখন তোমরা আসলে মসীহের বিরুদ্ধেই গুনাহ্ কর।
13 তাই খাবারের জন্য যদি আমার ভাই গুনাহে পড়ে তবে আমার ভাই যাতে গুনাহে না পড়ে সেইজন্য আমি গোশ্ত খাওয়াই ছেড়ে দেব।