1 পাক-রূহ্ পরিষ্কার ভাবে বলেছেন, ভবিষ্যতে কিছু লোক ঈসায়ী ঈমান থেকে দূরে সরে যাবে এবং ছলনাকারী রূহ্ ও ভূতদের শিক্ষার দিকে ঝুঁকে পড়বে।
2 বিবেক অসাড় হয়ে গেছে এমন সব মিথ্যাবাদী লোকদের ভণ্ডামির জন্য এই রকম হবে।
3 এরা মানুষকে বিয়ে না করবার হুকুম দেয় এবং কোন কোন খাবার খেতে নিষেধ করে। কিন্তু ঈমানদারেরা, যারা আল্লাহ্র সত্যকে জেনেছে, তারা যেন আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানিয়ে খায় সেইজন্যই তো আল্লাহ্ এই সব খাবার সৃষ্টি করেছেন।
4 আল্লাহ্র সৃষ্ট প্রত্যেকটি জিনিস ভাল, তাই কোন জিনিস হারাম মনে করে বাদ দেওয়া উচিত নয়; কিন্তু তা যেন আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানিয়ে গ্রহণ করা হয়,
5 কারণ আল্লাহ্র কালাম ও মুনাজাতের মধ্য দিয়ে তা পাক-সাফ হয়।
6 যদি তুমি এই সব বিষয় ভাইদের বুঝিয়ে দাও তবে ঈসায়ী ঈমানের যে সত্য ও নির্ভুল শিক্ষা তুমি মেনে চলেছ, তাতে পাকা হয়ে মসীহ্ ঈসার একজন উপযুক্ত সেবাকারী হবে।
7 আল্লাহ্র প্রতি ভয়হীন গল্প-কথা থেকে দূরে থাক; ওগুলো তো বুড়ীদের বানানো গল্পের মত। তার চেয়ে বরং আল্লাহ্-ভয়ের অভ্যাস কর।
8 শারীরিক ব্যায়ামে কিছু লাভ হয় বটে, কিন্তু আল্লাহ্-ভয়ে সব দিক থেকে লাভ হয়; তাতে এই জীবন এবং পরজীবনের জন্য আশ্বাস রয়েছে।
9 এই কথা বিশ্বাসযোগ্য এবং সম্পূর্ণভাবে গ্রহণেরও যোগ্য।
10 এইজন্যই আমরা প্রাণপণে পরিশ্রম করছি এবং আগ্রহের সংগে কাজ করছি, কারণ জীবন্ত আল্লাহ্র উপরে আমরা আশা রেখেছি। তিনিই সব মানুষের নাজাতদাতা, বিশেষভাবে তাদের যারা তাঁর উপর ঈমান আনে।
11 তুমি এই সব বিষয়ে হুকুম ও শিক্ষা দাও।
12 তুমি যুবক বলে কেউ যেন তোমাকে তুচ্ছ না করে। কথায়, চালচলনে, মহব্বতে, বিশ্বাসে এবং পবিত্রতায় তুমি ঈমানদারদের কাছে আদর্শ হও।
13 আমি না আসা পর্যন্ত তুমি ঈমানদারদের পাক-কিতাব তেলাওয়াত করা, তবলিগ করা ও শিক্ষা দেওয়ার কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখ।
14 জামাতের নেতারা যখন তোমার উপরে তাঁদের হাত রেখেছিলেন তখন নবী হিসাবে কথা বলবার মধ্য দিয়ে যে বিশেষ দান তোমাকে দেওয়া হয়েছিল সেই দান তুমি অবহেলা কোরো না।
15 এই সব বিষয়ে মনোযোগী হও; নিজেকে সম্পূর্ণভাবে তার মধ্যে ডুবিয়ে রাখ, যেন সবাই দেখতে পায় যে, তুমি এগিয়ে যাচ্ছ।
16 তোমার নিজের বিষয়ে এবং তোমার শিক্ষার বিষয়ে সতর্ক থাক। এই সব করতে থাক, কারণ তাতে তুমি নিজেকে রক্ষা করতে পারবে এবং যারা তোমার কথা শুনবে তাদেরও রক্ষা করতে পারবে।