5 কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমাদের নিজেদের কোন কিছু করবার শক্তি আছে বলে আমরা দাবি করতে পারি, বরং আমাদের সেই যোগ্যতা আল্লাহ্র কাছ থেকেই আসে।
6 একটা নতুন ব্যবস্থার কথা জানাবার জন্য তিনিই আমাদের যোগ্য করে তুলেছেন। এই ব্যবস্থা অক্ষরে অক্ষরে শরীয়ত পালনের ব্যাপার নয়, কিন্তু পাক-রূহের পরিচালনায় অন্তরের বাধ্যতার ব্যাপার; কারণ শরীয়ত মৃত্যু আনে, কিন্তু পাক-রূহ্ জীবন দান করেন।
7 পাথরে লেখা যে ব্যবস্থার ফলে মৃত্যু আসে সেই ব্যবস্থা দেবার সময় আল্লাহ্র মহিমা প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে মূসার মুখও আল্লাহ্র মহিমায় উজ্জ্বল হয়েছিল। সেই উজ্জ্বলতা যদিও আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছিল তবুও বনি-ইসরাইলরা মূসার মুখের দিকে তাকাতে পারে নি।
8 যদি এই ব্যবস্থার ফল এত মহিমাপূর্ণ হতে পারে, তবে পাক-রূহের কাজের ফল কি আরও মহিমাপূর্ণ হবে না?
9 যে ব্যবস্থার দ্বারা মানুষকে দোষী বলে স্থির করা হয় তার কাজ যদি এত মহিমাপূর্ণ, তবে যে ব্যবস্থার দ্বারা মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয় তার কাজ আরও কত না বেশী মহিমাপূর্ণ!
10 আর সত্যিই, যা আগে মহিমাপূর্ণ ছিল, আসলে এখন তার কোন মহিমা নেই বললেই হয়, কারণ তার তুলনায় এখনকার ব্যবস্থার মহিমা আরও অনেক বেশী।
11 যা শেষ হয়ে যাচ্ছিল তা যখন এত মহিমাপূর্ণ ছিল তখন যা চিরকাল থাকে তা আরও কত না বেশী মহিমাপূর্ণ!