1 এই ব্যবস্থার কথা জানাবার ভার আল্লাহ্ দয়া করে আমাদের দিয়েছেন বলে আমরা নিরাশ হই না।
2 লোকে গোপনে যে সব লজ্জাপূর্ণ কাজ করে তা আমরা একেবারেই করি না। আমরা কোন কাজে ছলনা করি না, আল্লাহ্র কালামে কোন ভুলের ভেজাল দিই না। আমরা বরং আল্লাহ্র সত্য প্রকাশ করে তাঁরই সামনে সব মানুষের বিবেকের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্য বলে তুলে ধরি।
3 আমাদের সুসংবাদ যদি ঢাকা থাকে তবে যারা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তাদের কাছেই ঢাকা থাকে।
4 অ-ঈমানদার লোকদের মন এই যুগের দেবতা অন্ধ করে দিয়েছে যেন তারা সুসংবাদের নূর দেখতে না পায়। এই সুসংবাদে মসীহের মহিমা ফুটে উঠেছে, আর এই মসীহ্ই হলেন আল্লাহ্র হুবহু প্রকাশ।
5 আমরা তো নিজেদের বিষয় তবলিগ করছি না, বরং তবলিগ করছি যে, ঈসা মসীহ্ই প্রভু এবং ঈসার জন্যই আমরা তোমাদের গোলাম হয়েছি।
6 আমরা এই কথা তবলিগ করছি, কারণ যিনি বলেছিলেন, “অন্ধকার থেকে আলো হোক,” সেই আল্লাহ্ আমাদের দিলে জ্বলেছিলেন, যাতে তাঁর মহিমা বুঝবার নূর প্রকাশ পায়। এই মহিমাই মসীহের মুখমণ্ডলে রয়েছে।
7 কিন্তু এই ধন মাটির পাত্রে রাখা হয়েছে, আর আমরাই সেই মাটির পাত্র। মাটির পাত্রে তা রাখা হয়েছে যেন লোকে বুঝতে পারে যে, এই অসাধারণ মহাশক্তি আমাদের নিজেদের কাছ থেকে আসে নি বরং আল্লাহ্র কাছ থেকেই এসেছে।
8 সব দিক থেকেই আমাদের উপর চাপ পড়ছে, তবু আমরা ভেংগে পড়ছি না। বুদ্ধিহারা হলেও আমরা সম্পূর্ণ হতাশ হয়ে পড়ছি না;
9 অত্যাচারিত হলেও আল্লাহ্ আমাদের ত্যাগ করছেন না; মাটিতে আছড়ে ফেললেও আমরা ধ্বংস হচ্ছি না।
10 আমরা সব সময় হযরত ঈসার মৃত্যু আমাদের শরীরে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি, যেন আমাদের শরীরের মধ্যে ঈসার জীবনও প্রকাশিত হয়।
11 আমরা যারা বেঁচে আছি আমাদের সব সময়ই ঈসার জন্য মৃত্যুর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, যেন আমাদের মৃত্যুর অধীন শরীরে ঈসার জীবনও প্রকাশিত হয়।
12 সেইজন্য আমাদের মধ্যে মৃত্যু কাজ করছে কিন্তু তোমাদের মধ্যে জীবন কাজ করছে।
13 পাক-কিতাবে লেখা আছে, “আমি ঈমান এনেছি বলেই কথা বলেছি।” এই একই রকম ঈমানের মনোভাব নিয়ে আমরাও ঈমান এনেছি বলে কথা বলছি,
14 কারণ আমরা জানি, যিনি হযরত ঈসাকে জীবিত করেছিলেন তিনি তাঁর সংগে আমাদেরও জীবিত করবেন এবং তোমাদের সংগে আমাদেরও নিজের সামনে উপস্থিত করবেন।
15 সব কিছু তোমাদের উপকারের জন্যই হয়েছে, যেন আল্লাহ্র যে রহমত অনেক লোকের উপর ঢেলে দেওয়া হয়েছে সেই রহমতের জন্য অনেকেই আল্লাহ্কে আরও বেশী করে শুকরিয়া জানায় এবং এইভাবে আল্লাহ্র গৌরব হয়।
16 এইজন্য আমরা হতাশ হই না। যদিও আমাদের বাইরের শরীর ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে তবুও আমাদের ভিতরের মানুষ দিনে দিনে নতুন হয়ে উঠছে।
17 এখন আমরা অল্পকালের জন্য যে সামান্য কষ্টভোগ করছি তার ফলে আমরা চিরকালের মহিমা লাভ করব। এই মহিমা এত বেশী যে, তা মাপা যায় না।
18 যা দেখা যায় আমরা তার দিকে দেখছি না, বরং যা দেখা যায় না তার দিকেই দেখছি। যা দেখা যায় তা মাত্র অল্প দিনের, কিন্তু যা দেখা যায় না তা চিরদিনের।