5 ম্যাসিডোনিয়ায় পৌঁছেও আমাদের শরীর বিশ্রাম পায় নি; সব দিক থেকেই আমরা কষ্ট পেয়েছি- চারদিকে ছিল গণ্ডগোল আর দিলে ছিল ভয়।
6 তবে আল্লাহ্, যিনি দুঃখিতদের সান্ত্বনা দান করেন, তিনি তীতের আসবার মধ্য দিয়ে আমাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন।
7 কেবল তা-ই নয়, তীত নিজে তোমাদের দ্বারা সান্ত্বনা পেয়েছেন বলে আমরাও সান্ত্বনা পেয়েছি। তোমাদের আগ্রহ ও দুঃখের কথা তিনি আমাদের বলেছেন এবং জানিয়েছেন যে, তোমরা আমার জন্য খুব চিন্তা-ভাবনা করছ, আর তাতে আমি আরও আনন্দ পেয়েছি।
8 যদিও আমি আমার আগের চিঠির দ্বারা তোমাদের দুঃখ দিয়েছিলাম তবুও আমি দুঃখিত নই। যখন আমি দেখলাম যে, ঐ চিঠি কিছুকালের জন্য হলেও তোমাদের দুঃখ দিয়েছে তখন অবশ্য আমি কিছুটা দুঃখিত হয়েছিলাম, কিন্তু এখন আমি আনন্দিত।
9 তোমরা দুঃখ পেয়েছিলে বলে আমি আনন্দিত নই, বরং তোমরা দুঃখিত হয়ে তওবা করেছ বলে আনন্দিত হয়েছি। আল্লাহ্র ইচ্ছামতই তোমরা এই দুঃখ পেয়েছিলে, আর সেইজন্য আমাদের দ্বারা তোমাদের কোন ক্ষতি হয় নি।
10 আল্লাহ্ যে দুঃখ দেন তাতে গুনাহ্ থেকে মন ফেরে এবং তার ফলে নাজাত পাওয়া যায়, আর তাতে দুঃখ করবার কিছু থাকে না। কিন্তু দুনিয়ার দেওয়া দুঃখ মানুষের মৃত্যু ডেকে আনে।
11 ভেবে দেখ, আল্লাহ্ যখন তোমাদের দুঃখ দিয়েছিলেন তখন তোমরা পিছিয়ে পড় নি, তখন নির্দোষ বলে নিজেদের প্রমাণ করবার জন্য তোমাদের কত ইচ্ছা হয়েছিল, গুনাহের প্রতি কত ঘৃণা জেগেছিল, মনে কত ভয় হয়েছিল, কত আগ্রহ জেগেছিল, কত চিন্তা-ভাবনা হয়েছিল এবং গুনাহের শাস্তি দেবার জন্য কত ইচ্ছা হয়েছিল। এইভাবে সব দিক থেকেই তোমরা প্রমাণ করেছিলে যে, সেই ব্যাপারে তোমরা নির্দোষ।