27 অতএব, হে বাদশাহ্, আপনি আমার পরামর্শ গ্রাহ্য করুন; আপনি ধার্মিকতা দ্বারা আপনার গুনাহ্গুলো ও দুঃখীদের প্রতি করুণা দেখিয়ে আপনার অপরাধগুলো মুছে ফেলুন; হয় তো আপনার শান্তিকাল বৃদ্ধি পাবে।
28 এই সমস্তই বাদশাহ্ বখতে-নাসারের উপর ঘটলো।
29 বারো মাসের শেষে তিনি ব্যাবিলনের রাজপ্রাসাদের উপরে বেড়াচ্ছিলেন।
30 বাদশাহ্ এই কথা বললেন, এ কি সেই মহতী ব্যাবিলন নয়, যা আমি আমার মহাশক্তির দ্বারা ও আমার প্রতাপের মহিমার জন্য রাজধানী করার জন্য নির্মাণ করেছি?
31 বাদশাহ্র মুখ থেকে এই কথা বের হতে না হতেই আকাশ থেকে এই বাণী হল, হে বাদশাহ্ বখতে-নাসার! তোমাকে বলা হচ্ছে, তোমার রাজত্ব তোমা থেকে গেল।
32 আর তুমি মানব-সমাজ থেকে দূরীকৃত হবে, মাঠের পশুদের সঙ্গে তোমার বসতি হবে, বলদের মত তোমাকে ঘাস খাওয়ানো যাবে ও তোমার উপরে সাত কাল ঘুরবে; যে পর্যন্ত না তুমি জানবে যে, মানুষের রাজ্যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ কর্তৃত্ব করেন ও যাকে তা দিতে ইচ্ছা করেন, তাকে তা দেন।
33 সেই দণ্ডে বখতে-নাসারের সম্বন্ধে সেই কালাম সিদ্ধ হল; তিনি মানব সমাজ থেকে দূরীকৃত হলেন, বলদের মত ঘাস খেতে লাগলেন, তাঁর শরীর আসমানের শিশিরে ভিজল, ক্রমে তাঁর চুল ঈগল পাখির পালকের মত ও তাঁর নখ পাখির নখরের মত হয়ে উঠলো।