62 তাতে আসমানের তারার মত বহুসংখ্যক ছিলে যে তোমরা, তোমরা অল্পসংখ্যক অবশিষ্ট থাকবে; কেননা তুমি তোমার আল্লাহ্ মাবুদের নির্দেশে কান দিতে না।
63 আর তোমাদের মঙ্গল ও বৃদ্ধি করতে যেমন মাবুদ তোমাদের সম্বন্ধে আনন্দ করতেন, সেভাবে তোমাদের বিনাশ ও লোপ করতে মাবুদ তোমাদের সম্বন্ধে আনন্দ করবেন এবং তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেখান থেকে তোমরা উচ্ছিন্ন হবে।
64 আর মাবুদ তোমাকে দুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সমস্ত জাতির মধ্যে ছিন্নভিন্ন করবেন; সেই স্থানে তুমি তোমার ও তোমার পূর্বপুরুষদের অজ্ঞাত অন্য দেবতাদের, কাঠ ও পাথরের, সেবা করবে।
65 আর তুমি সেই জাতিদের মধ্যে কোন শান্তি পাবে না ও তোমার পদতলের জন্য বিশ্রামস্থান থাকবে না, কিন্তু মাবুদ সেই স্থানে তোমাকে হৃৎকম্প, চোখের ক্ষীণতা ও প্রাণের শুষ্কতা দেবেন।
66 আর তোমার জীবন তোমার দৃষ্টিতে সংশয়ে দোলায়মান হবে এবং তুমি দিনরাত শঙ্কা করবে ও নিজের জীবনের বিষয়ে তোমার বিশ্বাস থাকবে না।
67 তুমি হৃদয়ে যে শঙ্কা করবে ও চোখে যে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখবে, সেজন্য খুব ভোরে বলবে, হায় হায়, কখন সন্ধ্যা হবে এবং সন্ধ্যাবেলা বলবে, হায় হায়, কখন সকাল হবে?
68 আর যে পথের বিষয়ে আমি তোমাকে বলেছি, তুমি তা আর দেখবে না, মাবুদ সেই মিসর দেশের পথে জাহাজে করে তোমাকে পুনর্বার নিয়ে যাবেন এবং সেই স্থানে তোমরা গোলাম ও বাঁদী হিসেবে তোমাদের দুশমনদের কাছে বিক্রি হতে চাইবে; কিন্তু কেউ তোমাদের ক্রয় করবে না।