1 বিশতম বছরে কিশ্লেব মাসে আমি শূশন রাজধানীতে ছিলাম।
2 তখন হনানি নামে আমার ভাইদের এক জন এবং এহুদা থেকে কয়েকজন লোক আসলে আমি তাদেরকে যারা বন্দীদশা থেকে ফিরে ইহুদীদের ও জেরুশালেমের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম।
3 তখন তারা আমাকে বললো, সেই অবশিষ্ট লোকেরা অর্থাৎ যারা বন্দী দশা থেকে অবশিষ্ট থেকে সেই প্রদেশে ফিরে এসেছে, তারা অতিশয় দুরবস্থা ও গ্লানির মধ্যে রয়েছে এবং জেরুশালেমের প্রাচীর ভেঙ্গে গেছে ও তার সমস্ত দ্বার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
4 এই কথা শুনে আমি কিছুদিন বসে কান্নাকাটি ও শোক করলাম এবং বেহেশতের আল্লাহ্র সাক্ষাতে রোজা ও মুনাজাত করলাম।
5 আমি বললাম, আরজ করি, হে মাবুদ বেহেশতের আল্লাহ্, তুমি মহান ও ভয়ঙ্কর আল্লাহ্; যারা তোমাকে মহব্বত করে ও তোমার সমস্ত হুকুম পালন করে, তাদের পক্ষে তুমি নিয়ম ও রহম পালন করে থাক।
6 এখন তোমার গোলামের মুনাজাত শুনবার জন্য তোমার কান ও চোখ খোলা থাকুক। সম্প্রতি আমি তোমার গোলাম ও বনি-ইসরাইলদের জন্য দিনরাত তোমার কাছে মুনাজাত করছি এবং বনি-ইসরাইলদের সমস্ত গুনাহ্ স্বীকার করছি; বাস্তবিক আমরা তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করেছি; আমি ও আমার পিতৃকুলও গুনাহ্ করেছি।
7 আমরা তোমার বিরুদ্ধে অতিশয় দুষ্কর্ম করেছি; তুমি তোমার গোলাম মূসাকে যেসব হুকুম, বিধি ও অনুশাসন হুকুম করেছিলে, তা আমরা পালন করি নি।
8 আরজ করি, তুমি তোমার গোলাম মূসাকে যে হুকুম দিয়েছ সেই কথা স্মরণ কর, যথা, “তোমরা বিশ্বাস ভঙ্গ করলে আমি তোমাদেরকে জাতিদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করবো।
9 কিন্তু যদি তোমরা আমার কাছে ফিরে এসো এবং আমার হুকুম পালন ও সেই অনুসারে কাজ কর, তবে তোমাদের কেউ কেউ আসমানের প্রান্তভাগে দূরীকৃত হলেও আমি সেখান থেকে তাদেরকে সংগ্রহ করবো এবং আমার নাম স্থাপনের জন্য যে স্থান মনোনীত করেছি, সেই স্থানে তাদেরকে আনবো।
10 “এরা তোমার গোলাম ও তোমার লোক, যাদেরকে তুমি তোমার মহাপরাক্রমে ও শক্তিশালী হাতে মুক্ত করেছ।
11 হে মালিক, আরজ করি, তোমার এই গোলামের মুনাজাতে এবং যারা তোমার নামে ভয় করতে সন্তুষ্ট, তোমার সেই গোলামের মুনাজাতে তোমার কান খোলা থাকুক; আর আরজ করি, আজ তোমার এই গোলামকে কৃতকার্য কর ও এই ব্যক্তির সাক্ষাতে করুণাপ্রাপ্ত কর— তখন আমি বাদশাহ্র পানপাত্র-বাহক ছিলাম।