14 তোমার নবীরা তোমার জন্য মিথ্যা ও মূর্খতার দর্শন পেয়েছে,তারা তোমার বন্দীদশা ফিরাবার জন্য তোমার অধর্ম ব্যক্ত করে নি,কিন্তু তোমার জন্য মিথ্যা দৈববাণী সকলও নির্বাসনের বিষয় সকল দর্শন করেছে।
15 যেসব লোক তোমার কাছ দিয়ে যায়,তারা তোমার দিকে হাততালি দেয়;তারা শিশ দিয়ে জেরুশালেম-কন্যার দিকে মাথা নেড়ে বলে,এ কি সেই নগর, যা ‘পরম সৌন্দর্যের স্থল’ও ‘সমস্ত দুনিয়ার আনন্দ-স্থল’ নামে আখ্যাত ছিল?
16 তোমার সমস্ত দুশমন তোমার বিরুদ্ধে মুখ খুলে হ্যাঁ, করেছে,তারা শিস দিয়ে দাঁত ঘর্ষণ করে,বলে, আমরা তাকে গ্রাস করলাম,এটি অবশ্য সেদিন, যার আকাঙ্খা করতাম;আমরা পেলাম, দেখলাম।
17 মাবুদ যে সঙ্কল্প করেছিলেন, তা সিদ্ধ করেছেন;পুরাকালে যা হুকুম করেছিলেন,সেই কালাম পূর্ণ করেছেন,তিনি নিপাত করেছেন, রহম করেন নি;তিনি দুশমনকে তোমার উপরে আনন্দ করতে দিয়েছেন,তোমার বিপক্ষদের শিং উঁচু করেছেন।
18 লোকদের অন্তর প্রভুর কাছে কান্নাকাটি করেছে;অহো সিয়োন-কন্যার প্রাচীর!দিনরাত অশ্রুধারা পানির স্রোতের মত বয়ে যাক,নিজেকে কোন বিশ্রাম দিও না,তোমার চোখের তারাকে ক্ষান্ত হতে দিও না।
19 উঠ, রাতের বেলায় প্রত্যেক প্রহরের আরম্ভে মাতম কর,প্রভুর সম্মুখে তোমার অন্তর পানির মত ঢেলে দাও,তাঁর উদ্দেশে হাত তোল,তোমার শিশুদের প্রাণ রক্ষার্থে,যারা প্রতি রাস্তার মোড়ে মোড়ে ক্ষুধায় মূর্চ্ছাপন্ন রয়েছে।
20 দেখ, হে মাবুদ, মনযোগ দাও,তুমি কার প্রতি এমন ব্যবহার করেছ?স্ত্রীলোক কি তার গর্ভফল, যাদেরকে হাতে করে দুলিয়েছে,সেই শিশুদেরকে ভোজন করবে?প্রভুর পবিত্র স্থানে কি ইমাম ও নবী নিহত হবে?