1 এখন, হে ইমামেরা, তোমাদের প্রতি এই হুকুম।
2 বাহিনীগণের মাবুদ বলেন, যদি আমার নামের মহিমা স্বীকার করার জন্য তোমরা কথা না শোন ও মনোযোগ না কর, তবে আমি তোমাদের উপরে বদদোয়া প্রেরণ করবো ও তোমাদের দোয়ার পাত্র সকলকে বদদোয়া দেব; বাস্তবিক আমি সেসব লোককে বদদোয়া দিয়েছি, কেননা তোমরা মনোযোগ দাও না।
3 দেখ, আমি তোমাদের জন্য বংশধরকে ভৎর্সনা করবো ও তোমাদের মুখে বিষ্ঠা ছড়াব এবং লোকেরা তার সঙ্গে তোমাদের নিয়ে যাবে।
4 আর তোমরা জানবে, লেবির সঙ্গে যেন আমার নিয়ম থাকে, সেজন্য আমি তোমাদের কাছে এই হুকুম পাঠালাম, এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন।
5 তার সঙ্গে আমার যে নিয়ম ছিল, তা জীবন ও শান্তির নিয়ম, আর আমি তাকে উভয়ই দিতাম, যেন সে ভয় করে, আর সে আমাকে ভয় করতো এবং আমার নামে ভয় পেত।
6 তার মুখে সত্যের ব্যবস্থা ছিল ও তার কথায় কোন অন্যায় পাওয়া যেত না; সে শান্তিতে ও সরলতায় আমার সঙ্গে চলাফেরা করতো এবং অনেককে অপরাধ থেকে ফিরিয়ে রাখত।
7 বস্তুত ইমামের মুখ জ্ঞান রক্ষা করে ও তার মুখে লোকেরা শরীয়তের খোঁজ করে; কেননা সে বাহিনীগণের মাবুদের দূত।
8 কিন্তু তোমরা পথ থেকে সরে পড়েছ, শরীয়তের বিষয়ে অনেককে হোঁচট খাইয়েছ; তোমরা লেবির নিয়ম নষ্ট করেছ; এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন।
9 এজন্য আমিও সকল লোকের সাক্ষাতে তোমাদেকে তুচ্ছতার পাত্র ও নিচ করলাম, কারণ তোমরা আমার পথ রক্ষা করছো না, শরীয়তের বিষয়ে পক্ষপাতিত্ব করে থাক।
10 আমাদের সকলের কি এক জন পিতা নন? এই আল্লাহ্ই কি আমাদের সৃষ্টি করেন নি? তবে আমরা কেন প্রত্যেকে আপন আপন ভাইয়ের প্রতি বেঈমানী করি, নিজেদের পৈতৃক নিয়ম নাপাক করি?
11 এহুদা বেঈমানী করেছে এবং ইসরাইল ও জেরুশালেমে জঘন্য কাজ করেছে; কেননা এহুদা মাবুদের সেই পবিত্র-স্থান নাপাক করেছে, যা তিনি ভালবাসেন ও এক বিজাতীয় দেবতার কন্যাকে বিয়ে করেছে।
12 যে ব্যক্তি এই কাজ করে, মাবুদ তার প্রতি এরকম করবেন, ইয়াকুবের তাঁবুগুলো থেকে যে জাগায় ও যে উত্তর দেয় এবং যে বাহিনীগণের মাবুদের উদ্দেশে নৈবেদ্য আনয়ন করে, তাকে উচ্ছিন্ন করবেন।
13 আর তোমাদের দ্বিতীয় অপকর্ম এই, তোমরা অশ্রুপাতে, কান্নাকাটিতে ও আর্তস্বরে মাবুদের কোরবানগাহ্ আচ্ছন্ন করে থাক, কারণ তিনি আর কোরবানীর প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না ও তোমাদের হাত থেকে তুষ্টিজনক বলে কিছু গ্রাহ্য করেন না।
14 তবুও তোমরা বলছো, এর কারণ কি? কারণ এই, মাবুদ তোমার যৌবনকালীন স্ত্রীর ও তোমার মধ্যে সাক্ষী হয়েছেন; ফলত তুমি তার প্রতি বেঈমানী করেছ, যদিও সে তোমার সখী ও তোমার নিয়মের স্ত্রী।
15 মাবুদ কি স্বামী ও স্ত্রীকে এক করে সৃষ্টি করেন নি? রূহে ও মাংসে তারা তাঁরই। তারা কেন এক? কারণ তিনি তাদের মধ্য দিয়ে একটি আল্লাহ্-ভক্ত বংশ রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। অতএব তোমার নিজ নিজ রূহের বিষয়ে সাবধান হও এবং কেউ তার যৌবনকালীন স্ত্রীর প্রতি বেঈমানী না করুক।
16 কেননা আমি স্ত্রীত্যাগ ঘৃণা করি, এই কথা ইসরাইলের আল্লাহ্ মাবুদ বলেন, আর যে তার পোশাক জোর-জুলুম দিয়ে ঢাকে, তাকে ঘৃণা করি, এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন। অতএব তোমরা নিজ নিজ রূহের বিষয়ে সাবধান হও, বেঈমানী করো না।
17 তোমরা নিজ নিজ কথা দ্বারা মাবুদকে ক্লান্ত করেছ। তবুও বলে থাক, কিসে তাঁকে ক্লান্ত করেছি? এই কথায় করছো, তোমরা বলছো, যে কেউ দুষ্কর্ম করে, সে মাবুদের দৃষ্টিতে উত্তম; তিনি তাদের প্রতি প্রীত; অথবা, বিচারকর্তা আল্লাহ্ কোথায়?