1 অতএব এসো, আমরা মসীহ্ বিষয়ক প্রাথমিক শিক্ষার কথা পিছনে ফেলে পরিপক্কতা লাভের চেষ্টায় অগ্রসর হই এবং পুনর্বার এই ভিত্তিমূল স্থাপন না করি, যার মধ্যে রয়েছে: নিষ্ফল কাজকর্ম থেকে মন পরিবর্তন ও আল্লাহ্র উপরে ঈমান,
2 নানা বাপ্তিস্ম ও হস্তার্পণের শিক্ষা, মৃতদের পুনরুত্থান ও অনন্তকালীন বিচার।
3 অবশ্য আল্লাহ্র অনুমতি হলে আমরা তা-ই করবো।
4 কেননা যারা একবার আলোকিত হয়েছে, বেহেশতী দানের স্বাদ পেয়েছে, পাক-রূহের ভাগী হয়েছে,
5 এবং আল্লাহ্র মঙ্গলের কালামের ও ভাবী যুগের নানা পরাক্রমের স্বাদ গ্রহণ করেছে,
6 পরে ধর্মভ্রষ্ট হয়েছে, তবে মন পরিবর্তনের পথে আবার তাদেরকে নতুন করে আনা যায় না; কেননা তারা নিজেদের বিষয়ে আল্লাহ্র পুত্রকে পুনরায় ক্রুশে দেয় ও প্রকাশ্যে নিন্দা করে।
7 কারণ যে জমি বার বার বৃষ্টির পানি পান করেছে, আর যাদের জন্য সেটি চাষ করা হয়েছে, তাদের জন্য উপযুক্ত ফসল উৎপন্ন করে, সেই জমি আল্লাহ্ থেকে দোয়া লাভ করে;
8 কিন্তু যদি কাঁটাবন ও কাঁটাঝোপ উৎপন্ন করে তবে তা অকর্মণ্য ও সেই জমিতে বদদোয়া পড়বার ভয় থাকে; আগুনে ধ্বংস হওয়াই তার পরিণাম।
9 প্রিয়তমেরা, যদিও আমরা এরকম বলছি, তবুও তোমাদের বিষয়ে আমরা সুনিশ্চিত যে, তোমাদের অবস্থা এর চেয়ে ভাল এবং যা তোমাদের নাজাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
10 কেননা আল্লাহ্ অন্যায়কারী নন; তোমাদের কাজ এবং তোমরা পবিত্র লোকদের যে পরিচর্যা করেছ ও করছো, তা দ্বারা তাঁর নামের প্রতি তোমরা যে মহব্বত দেখিয়েছ, তা তিনি ভুলে যাবেন না।
11 আমাদের বাসনা মাত্র এই, তোমাদের প্রত্যেক জন যেন একই রকম যত্ন দেখায়, যাতে তোমাদের প্রত্যাশা শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা লাভ করে;
12 যাতে তোমরা শিথিল না হও, কিন্তু যারা ঈমান ও ধৈর্য দ্বারা প্রতিজ্ঞাগুলোর উত্তরাধিকারী, তাদের অনুকারী হও।
13 কেননা আল্লাহ্ যখন ইব্রাহিমের কাছে ওয়াদা করলেন, তখন মহত্তর কোন ব্যক্তির নামে শপথ করতে না পারাতে নিজের নামেই শপথ করলেন, বললেন,
14 “আমি অবশ্যই তোমাকে দোয়া করবো এবং তোমার অতিশয় বংশ বৃদ্ধি করব।”
15 আর এভাবে তিনি অটলভাবে ধৈর্য ধরে প্রতিজ্ঞা লাভ করলেন।
16 মানুষ তো নিজের চেয়ে মহত্তর কোন ব্যক্তির নাম নিয়ে শপথ করে এবং সেই শপথ এই নিশ্চয়তা দেয় যে, তা সত্যি আর এতে সমস্ত বাদ-প্রতিবাদের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়।
17 একইভাবে, আল্লাহ্ যখন প্রতিশ্রুত উত্তরাধিকারীদেরকে নিজের অপরিবর্তনীয় উদ্দেশ্য অধিকতর সপষ্টভাবে দেখাবার বাসনা করলেন এবং শপথের দ্বারা তা দৃঢ় করলেন।
18 আল্লাহ্ এরকম করলেন যেন এমন দু’টি অপরিবর্তনীয় ব্যাপার, যে ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলা আল্লাহ্র পক্ষে অসম্ভব, তা দ্বারা আমরা যারা আশ্রয় পাবার জন্য পালিয়ে গিয়েছি— সেই আমাদের সম্মুখে যে প্রত্যাশা আছে তা অবলম্বন করার জন্য প্রচুর উৎসাহ লাভ করি।
19 আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে, তা প্রাণের নোঙ্গর-স্বরূপ, অটল ও দৃঢ় এবং তা মহা-পবিত্র স্থানের পর্দার ভিতর পর্যন্ত পৌঁছায়।
20 আর সেই স্থানে আমাদের জন্য অগ্রগামী হয়ে ঈসা প্রবেশ করেছেন, মাল্কীসিদ্দিকের রীতি অনুযায়ী অনন্তকালীন মহা-ইমাম হয়েছেন।