10 সেই সমস্ত কিছু খাদ্য, পানীয় ও নানা রকম বাপ্তিস্মের বিষয়ে যা কেবল দেহ সম্বন্ধীয় ধর্মীয় নিয়ম মাত্র। এগুলো সংশোধনের সময় আসা পর্যন্ত বলবৎ থাকার কথা ছিল।
11 কিন্তু মসীহ্ আগত উত্তম উত্তম বিষয়ের মহা-ইমাম হিসেবে উপস্থিত হয়ে, যে তাঁবু মহত্তর ও উৎকৃষ্টতর, যা মানুষের হাতের তৈরি নয়, অর্থাৎ এই সৃষ্টির অসম্পর্কীয়, সেই তাঁবু দিয়ে—
12 ছাগল ও বাছুরের রক্তের গুণে নয়, কিন্তু নিজের রক্তের গুণে— একবারে মহা-পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেছেন ও অনন্তকালীয় মুক্তি অর্জন করেছেন।
13 কারণ ছাগল ও ষাঁড়ের রক্ত এবং যারা নাপাক হত তাদের উপরে ছিটানো বক্না বাছুরের ভস্ম যদি দৈহিকভাবে তাদের পাক-সাফ করে থাকে,
14 তবে, যিনি অনন্তজীবী রূহ্ দ্বারা নির্দোষ কোরবানী হিসেবে নিজেকেই আল্লাহ্র উদ্দেশে কোরবানী করেছেন, সেই মসীহের রক্ত তোমাদের বিবেককে মৃত ক্রিয়াকলাপ থেকে নিশ্চয়ই কত না বেশি পাক-সাফ করবেন, যেন তোমরা জীবন্ত আল্লাহ্র এবাদত করতে পার।
15 আর এই কারণে তিনি এক নতুন নিয়মের মধ্যস্থ হয়েছেন, যেন প্রথম নিয়মের অধীনে যারা অপরাধ করেছে, তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে তাদের তিনি সেই গুনাহ্ থেকে মুক্তি দিতে পারেন, আর যারা আহ্বান পেয়েছে তারা অনন্তকালীন উত্তরাধিকার বিষয়ক প্রতিজ্ঞার ফল লাভ করে।
16 কেননা যেখানে উইল থাকে, সেখানে যিনি উইল করেছেন তার মৃত্যু হওয়া আবশ্যক।