1 তোমাদের মধ্যে কোথা থেকে যুদ্ধ ও কোথা থেকে ঝগড়া উৎপন্ন হয়? তোমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যেসব সুখাভিলাষ যুদ্ধ করে, সেসব থেকে কি নয়?
2 তোমরা অভিলাষ করছো, কিন্তু পাও না; তোমরা খুন করছো ও ঈর্ষা করছো, কিন্তু যা চাও তা পাও না; তোমরা ঝগড়া ও যুদ্ধ করে থাক, কিছু পাও না, কারণ তোমরা আল্লাহ্র কাছে যাচ্ঞা কর না।
3 যাচ্ঞা করছো, তবুও ফল পাচ্ছ না; কারণ মন্দভাবে যাচ্ঞা করছো, যেন নিজ নিজ সুখাভিলাষে ব্যয় করতে পার।
4 হে জেনাকারিণীরা, তোমরা কি জান না যে, দুনিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব হল আল্লাহ্র সঙ্গে শত্রুতা? সুতরাং যে কেউ দুনিয়ার বন্ধু হতে বাসনা করে, সে নিজেকে আল্লাহ্র শত্রু করে তোলে।
5 অথবা তোমরা কি মনে কর যে, পাক-কিতাব বৃথাই বলছে যে, তিনি যে রূহ্ আমাদের অন্তরে বাস করিয়েছেন, তাঁর জন্য আগ্রহের সঙ্গে আকাঙ্খা করেন?
6 বরং তিনি আরও রহমত দান করেন; এজন্য পাক-কিতাব বলে, “আল্লাহ্ অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদেরকে রহমত দান করেন।”
7 অতএব তোমরা আল্লাহ্র বশীভূত হও, আর শয়তানকে প্রতিরোধ কর, তাতে সে তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।
8 আল্লাহ্র নিকটবর্তী হও, তাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্তী হবেন। হে গুনাহ্গারেরা, তোমাদের হাত পাক-পবিত্র কর; হে দ্বিমনা লোকেরা, তোমাদের অন্তর বিশুদ্ধ কর।
9 মাতম কর ও শোকার্ত হও এবং কাঁদ; তোমাদের হাসি শোকে এবং আনন্দ বিষাদে পরিণত হোক।
10 প্রভুর সাক্ষাতে নত হও, তাতে তিনি তোমাদেরকে উন্নত করবেন।
11 হে ভাইয়েরা, পরস্পর নিন্দা করো না; যে ব্যক্তি ভাইয়ের নিন্দা করে, কিংবা ভাইয়ের বিচার করে, সে শরীয়তের নিন্দা করে ও শরীয়তের বিচার করে। কিন্তু তুমি যদি শরীয়তের বিচার কর, তবে শরীয়তের পালনকারী না হয়ে বিচারকর্তা হয়েছ।
12 একমাত্র শরীয়তদাতা ও বিচারকর্তা আছেন, তিনিই নাজাত করতে ও বিনষ্ট করতে পারেন। কিন্তু তুমি কে যে প্রতিবেশীর বিচার কর?
13 এখন দেখ, তোমাদের কেউ কেউ বলে, আজ কিংবা আগামীকাল, আমরা অমুক নগরে যাব এবং সেখানে এক বছর যাপন করবো, বাণিজ্য করে লাভ করবো।
14 তোমরা তো আগামীকালের বিষয়ে জান না: তোমাদের জীবন কি রকম? তোমরা তো বাষ্পস্বরূপ, যা কিছুক্ষণের জন্য থাকে, পরে অন্তর্হিত হয়।
15 ওর পরিবর্তে বরং এই কথা বল, ‘প্রভুর ইচ্ছা হলেই আমরা বেঁচে থাকব এবং এই কাজটি বা ও কাজটি করবো’।
16 কিন্তু এখন তোমরা নিজ নিজ অহংকারে গর্ব করছো; এই রকমের সমস্ত গর্ব মন্দ।
17 বস্তুত যে কেউ সৎকর্ম করতে জানে, অথচ করে না, সে গুনাহ্ করে।