1 পৌল ও তীমথি, মসীহ্ ঈসার গোলাম— মসীহ্ ঈসাতে স্থিত যত পবিত্র লোক ফিলিপীতে আছেন, তাঁদের এবং বিশপদের ও পরিচারকদের সমীপে।
2 আমাদের পিতা আল্লাহ্ ও প্রভু ঈসা মসীহ্ থেকে রহমত ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্ষিত হোক।
3 তোমাদের কথা স্মরণ হলেই আমি আমার আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানাই,
4 সব সময় আমার সমস্ত মুনাজাতে তোমাদের সকলের জন্য আনন্দ সহকারে মুনাজাত করে থাকি,
5 কারণ প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত ইঞ্জিলের পক্ষে তোমরা সহভাগী আছ।
6 আর এতে আমার দৃঢ় ভরসা আছে যে, তোমাদের অন্তরে যিনি উত্তম কাজ আরম্ভ করেছেন, তিনি ঈসা মসীহের দিন পর্যন্ত তা সুসম্পন্ন করবেন।
7 আর তোমাদের সকলের বিষয়ে আমার এই মনোভাব রাখা ন্যায় সঙ্গত, কেননা তোমরা আমার হৃদয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছ; কারাগারে আমার বন্দী থাকা সম্বন্ধে এবং ইঞ্জিলের পক্ষ সমর্থন ও নিশ্চিতকরণ সম্বন্ধে— এই দুই বিষয়েই তোমরা সকলে আমার সঙ্গে রহমতের সহভাগী হয়েছ।
8 কারণ আল্লাহ্ আমার সাক্ষী যে, মসীহ্ ঈসার স্নেহে আমি তোমাদের সকলের জন্য কেমন আকাঙক্ষী।
9 আর আমি মুনাজাত করি তোমাদের মহব্বত যেন তত্ত্বজ্ঞানে ও গভীর অন্তর্দৃষ্টিতে উত্তরোত্তর উপচে পড়ে;
10 এভাবে তোমরা যেন যা যা উত্তম তা বেছে নিতে পার এবং মসীহের আসার দিন পর্যন্ত যেন তোমরা খাঁটি ও নিখুঁত থাকতে পার,
11 যেন ধার্মিকতার সেই ফলে পূর্ণ হও, যা ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে পাওয়া যায়, এভাবে যেন আল্লাহ্র গৌরব ও প্রশংসা হয়।
12 হে ভাইয়েরা, আমার ইচ্ছা এই যেন তোমরা জানতে পার যে, আমার সম্বন্ধে যা যা ঘটেছে তা দ্বারা প্রকৃতপক্ষে ইঞ্জিল তবলিগের কাজ সম্প্রসারিত হয়েছে;
13 বিশেষত বাদশাহ্র সমস্ত রক্ষীদল এবং অন্যান্য সকলে জানতে পেরেছে যে, মসীহের জন্যই আমি বন্দী অবস্থায় আছি;
14 এবং প্রভুতে স্থিত অধিকাংশ ভাই আমার এই বন্দী অবস্থার কারণে দৃঢ়প্রত্যয়ী হয়ে নির্ভয়ে আল্লাহ্র কালাম তবলিগ করতে বেশি সাহসী হয়েছে।
15 অবশ্য এদের মধ্যে কেউ কেউ, এমন কি, হিংসা ও ঝগড়া-বিবাদ বশতঃ, আর কেউ কেউ সৎ মনোভাব নিয়ে মসীহ্কে তবলিগ করছে।
16 এরা মহব্বতে সঙ্গেই মসীহ্কে তবলিগ করছে, কারণ জানে যে, আমি ইঞ্জিলের পক্ষ সমর্থন করতে নিযুক্ত রয়েছি।
17 কিন্তু অন্যেরা স্বার্থপর উচ্চাকাঙ্খা বশতঃ মসীহ্কে তবলিগ করছে, আন্তরিকভাবে নয়, তারা মনে করছে বন্দীদশায় তারা আমাকে আরও কষ্ট দিতে পারবে।
18 কিন্তু তাতে কি? কপটতা বা সত্যভাবে, যে কোন ভাবে হোক, আসল কথা হল মসীহ্ তবলিগকৃত হচ্ছেন; আর এতেই আমি আনন্দ করছি, হ্যাঁ, পরেও আনন্দ করবো।
19 কেননা আমি জানি, তোমাদের মুনাজাত এবং ঈসা মসীহের রূহের সহায়তায় তা আমার মুক্তির সপক্ষ হবে।
20 হ্যাঁ, আমার ঐকান্তিক আকাঙ্খা ও প্রত্যাশা এই যে, আমি কোনভাবে লজ্জিত হব না, বরং সমপূর্ণ সাহস সহকারে যেমন আগে তেমনি এখনও আমার জীবন দ্বারা হোক, বা মৃত্যু দ্বারা হোক, মসীহ্ আমার দেহে মহিমান্বিত হবেন।
21 কেননা আমার পক্ষে জীবন মসীহ্ এবং মরণ লাভ।
22 কিন্তু এই দেহে থাকতে যে জীবন, তাতে যদি আমার ফলবান কাজের সুযোগ হয়, তবে কোন্টি মনোনীত করবো তা বলতে পারি না।
23 অথচ আমি দুইয়ের মধ্যেই সঙ্কুচিত হচ্ছি; আমার বাসনা এই যে, প্রস্থান করে মসীহের সঙ্গে থাকি, কেননা তা বহুগুণে বেশি শ্রেয়;
24 কিন্তু এই দেহে জীবিত থাকা তোমাদের জন্য আরও বেশি প্রয়োজনীয়।
25 আর আমি নিশ্চিত-ভাবে এই বিষয় জানি যে, আমি বেঁচে থাকব, এমন কি, ঈমানে তোমাদের বৃদ্ধি ও আনন্দের জন্য তোমাদের সকলের কাছে থাকব,
26 যেন তোমাদের কাছে আমার ফিরে আসবার মধ্য দিয়ে মসীহ্ ঈসাতে তোমাদের যে গর্ব তা আমার মধ্যে উপচে পড়ে।
27 কেবল, মসীহের ইঞ্জিলের যোগ্যরূপে তাঁর লোকদের মত জীবন-যাপন কর; আমি এসে তোমাদের দেখি বা অনুপস্থিত থাকি, আমি যেন তোমাদের বিষয়ে শুনতে পাই যে, তোমরা এক রূহে স্থির আছ, এক প্রাণে ইঞ্জিলের ঈমানের পক্ষে মল্লযুদ্ধ করছো;
28 এবং কোন বিষয়েই বিপক্ষদের ভয় পাচ্ছো না। এটা ওদের জন্য বিনাশের, কিন্তু তোমাদের জন্য নাজাতের প্রমাণ, আর এটি আল্লাহ্র দেওয়া।
29 যেহেতু তোমাদের মসীহের খাতিরে এই রহমত দান করা হয়েছে যেন কেবল তাঁর উপর ঈমান আনতে পার তা নয়, কিন্তু তাঁর জন্য দুঃখভোগও করতে পার;
30 কারণ আমার মধ্যে যেরকম দেখেছ এবং এখনও আমার মধ্যে হচ্ছে বলে শুনতে পাচ্ছ তোমরাও সেই একই রকম কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছ।