1 দেখ, পিতা আমাদেরকে কেমন মহব্বত দিয়েছেন যে, আমরা আল্লাহ্র সন্তান বলে আখ্যাত হই; আর আমরা তা-ই বটে। এজন্য দুনিয়া আমাদের জানে না, কারণ সে তাঁকে জানে নি।
2 প্রিয়তমেরা, এখন আমরা আল্লাহ্র সন্তান এবং পরে কি হব তা এই পর্যন্ত প্রকাশিত হয় নি। আমরা জানি, তিনি যখন প্রকাশিত হবেন তখন আমরা তাঁর সমরূপ হব; কারণ তিনি যেমন আছেন তাঁকে তেমনি দেখতে পাব।
3 তাঁর উপরে যার এই প্রত্যাশা আছে, সে নিজেকে বিশুদ্ধ করে, যেমন তিনি বিশুদ্ধ।
4 যে কেউ গুনাহ্ করে সে অধর্মের কাজ করে, আর এই অধর্মই হল গুনাহ্।
5 আর তোমরা জান, গুনাহ্র ভার নিয়ে যাবার জন্য তিনি প্রকাশিত হলেন এবং তাঁর মধ্যে কোন গুনাহ্ নেই।
6 যে কেউ তাঁর মধ্যে থাকে সে গুনাহ্ করে না; যে কেউ গুনাহ্ করে সে তাঁকে দেখে নি এবং জানেও নি।
7 সন্তানেরা, কেউ যেন তোমাদেরকে ভ্রান্ত না করে; যে সঠিক কাজ করে সে ধার্মিক, যেমন তিনি ধার্মিক।
8 যে গুনাহ্ করতেই থাকে, সে শয়তানের সন্তান; কেননা শয়তান আদি থেকে গুনাহ্ করছে, আল্লাহ্র পুত্র এজন্যই প্রকাশিত হলেন, যেন শয়তানের কাজগুলো লোপ করেন।
9 যে কেউ আল্লাহ্ থেকে জাত সে গুনাহ্ করতে থাকে না, কারণ তাঁর বীর্য তার অন্তরে থাকে; এবং সে গুনাহ্ করতে পারে না কারণ সে আল্লাহ্ থেকে জাত।
10 এতে কারা আল্লাহ্র সন্তান এবং কারা শয়তানের সন্তান তা প্রকাশ হয়ে পড়ে; যে কেউ সঠিক কাজ না করে এবং যে ব্যক্তি আপন ভাইকে মহব্বত না করে, সে আল্লাহ্র লোক নয়।
11 কেননা তোমরা আদি থেকে যে বার্তা শুনেছ তা এই, আমাদের একে অন্যকে মহব্বত করা কর্তব্য;
12 কাবিল যেমন সেই শয়তানের লোক এবং আপন ভাইকে খুন করেছিল, আমরা যেন তেমন না হই। আর সে কেন তাঁকে খুন করেছিল? কারণ এই যে, তার নিজের কাজ ছিল মন্দ, কিন্তু তার ভাইয়ের কাজ ছিল ধর্মসম্মত।
13 ভাইয়েরা, দুনিয়া যদি তোমাদেরকে ঘৃণা করে তবে আশ্চর্য হয়ো না।
14 আমরা জানি যে, মৃত্যু থেকে আমরা জীবনে উত্তীর্ণ হয়েছি, কারণ আমরা ভাইদেরকে মহব্বত করি; যে কেউ মহব্বত না করে সে মৃত্যুর মধ্যে থাকে।
15 যে কেউ আপন ভাইকে ঘৃণা করে, সে নরহন্তা। তোমরা জান, কোন নরঘাতকের অন্তরে অনন্ত জীবন অবস্থান করে না।
16 তিনি আমাদের জন্য আপন প্রাণ দিলেন, এতে আমরা মহব্বত কি তা জানতে পেরেছি; এবং আমরাও ভাইদের জন্য নিজ নিজ প্রাণ দিতে বাধ্য।
17 কিন্তু এই দুনিয়াতে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকবার মত অবস্থা যার আছে, সে আপন ভাইকে দীনহীন দেখলে যদি তার প্রতি আপন করুণা রোধ করে, তবে আল্লাহ্র মহব্বত কেমন করে তার অন্তরে থাকে?
18 সন্তানেরা, এসো, আমরা কথায় কিংবা জিহ্বাতে নয়, কিন্তু কাজে ও সত্যে মহব্বত করি।
19 এতে জানবো যে, আমরা সত্যের এবং তাঁর সাক্ষাতে নিজেদের অন্তর উৎসাহ-যুক্ত করবো,
20 কারণ আমাদের অন্তর যদি আমাদের দোষী করে, আল্লাহ্ আমাদের অন্তরের চেয়ে মহান এবং সকলই জানেন।
21 প্রিয়তমেরা, আমাদের অন্তর যদি আমাদের দোষী না করে, তবে আল্লাহ্র উদ্দেশে আমাদের সাহস লাভ হয়;
22 এবং যা কিছু যাচ্ঞা করি তা তাঁর কাছে পাই; কেননা আমরা তাঁর হুকুমগুলো পালন করি এবং তাঁর দৃষ্টিতে যা যা প্রীতিজনক, তা করি।
23 আর তাঁর হুকুম এই, যেন আমরা তাঁর পুত্র ঈসা মসীহের নামে ঈমান আনি এবং একে অন্যকে মহব্বত করি, যেমন তিনি আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন।
24 আর যে ব্যক্তি তাঁর হুকুমগুলো পালন করে, সে তাঁতে থাকে ও তিনি তাতে থাকেন; আর তিনি আমাদেরকে যে রূহ্ দিয়েছেন তাঁর দ্বারা আমরা জানি যে, তিনি আমাদের মধ্যেই বিরাজ করেন।