1 অতএব, প্রিয়তমেরা এসব প্রতিজ্ঞার অধিকারী হওয়াতে এসো, আমরা দৈহিক ও রূহের সমস্ত মলিনতা থেকে নিজেদের পাক-পবিত্র করি, আল্লাহ্ভয়ে নিজেদেরকে পরিপূর্ণরূপে পবিত্র করি।
2 তোমরা আমাদেরকে তোমাদের মনে স্থান দাও; আমরা কারো প্রতি অন্যায় করি নি, কাউকে নষ্ট করি নি, কাউকেও ঠকাই নি।
3 আমি তোমাদেরকে দোষী করার জন্য এই কথা বলছি, তা নয়; কেননা পূর্বে বলেছি, তোমরা আমাদের অন্তরে এমনভাবে গাঁথা রয়েছ যে, মরবো তো একসঙ্গে মরবো, বাঁচব তো একসঙ্গে বাঁচব।
4 তোমাদের উপর আমার বড়ই আস্থা আছে; তোমাদের জন্যে আমি খুবই গর্বিত; আমাদের সমস্ত ক্লেশের মধ্যে আমি সান্ত্বনাতে পরিপূর্ণ, আমি আনন্দে উথলে পড়ছি।
5 কারণ যখন আমরা ম্যাসিডোনিয়াতে এসেছিলাম তখনও আমাদের দেহের কোন বিশ্রাম ছিল না; কিন্তু সর্বদিকে ক্লিষ্ট হচ্ছিলাম; বাইরে যুদ্ধ, অন্তরে ভয় ছিল।
6 তবুও আল্লাহ্, যিনি অবনতদের সান্ত্বনা দেন, তিনি তীতের আগমন দ্বারা আমাদের সান্ত্বনা দিলেন;
7 আর কেবল তাঁর আগমন দ্বারা নয়, কিন্তু তোমাদের মধ্যে তিনি যে সান্ত্বনায় সান্ত্বনা লাভ করেছিলেন, তা দ্বারাও সান্ত্বনা দিলেন, কারণ তিনি তোমাদের অনুরাগ, তোমাদের শোক, ও আমার পক্ষে তোমাদের গভীর আগ্রহের বিষয়ে সংবাদ দিলেন, তাতে আমি আরও আনন্দিত হলাম।
8 কেননা যদিও আমার পত্র দ্বারা তোমাদেরকে দুঃখ দিয়েছিলাম, তবু অনুশোচনা করি না— যদিও অনুশোচনা করেছিলাম কেননা আমি দেখতে পাচ্ছি যে, সেই পত্র তোমাদের মনোদুঃখ জন্মিয়েছে, কিন্তু তা কেবল অল্প কালের জন্য।
9 এখন আমি আনন্দ করছি; তোমাদের মনোদুঃখ হয়েছে, সেজন্য নয়, কিন্তু তোমাদের সেই মনোদুঃখ যে তোমাদের মনে অনুতাপজনিত পরিবর্তন এনেছে, সেজন্য; কারণ আল্লাহ্র ইচ্ছা অনুসারেই তোমাদের মনোদুঃখ হয়েছে, যেন আমাদের দ্বারা কোন বিষয়ে তোমাদের ক্ষতি না হয়।
10 কারণ আল্লাহ্র ইচ্ছা অনুসারে যে মনোদুঃখ, তা নাজাত লাভের জন্য মন পরিবর্তন ঘটায় এবং তাতে আমাদের দুঃখ করার কিছু নেই; কিন্তু দুনিয়ার দেওয়া মনোদুঃখ মৃত্যু ডেকে আনে।
11 কারণ দেখ, আল্লাহ্র ইচ্ছা অনুসারে যে মনোদুঃখ তোমাদের হয়েছে, তা তোমাদের পক্ষে কত একাগ্রতা সাধন করেছে, আর নির্দোষ বলে প্রমাণ করার কেমন ইচ্ছা, কেমন বিরক্তি, কেমন ভয়, কেমন অনুরাগ, কেমন গভীর আগ্রহ, আর অন্যায়ের শাস্তি দেবার কেমন ইচ্ছা হয়েছিল! সর্ববিষয়ে তোমরা নিজেদেরকে ঐ ব্যাপারে নির্দোষ দেখিয়েছ।
12 অতএব আমি যদিও তোমাদের কাছে লিখেছিলাম, তবুও অপরাধীর জন্য কিংবা যার বিরুদ্ধে অপরাধ করা হয়েছে তার জন্য নয়, কিন্তু আমাদের জন্য তোমাদের যে গভীর আগ্রহ আছে, তা যেন আল্লাহ্র সাক্ষাতে সুস্পষ্ট-ভাবে প্রকাশ পায়।
13 সেই কারণে আমরা সান্ত্বনা পেলাম; আর আমাদের সেই সান্ত্বনার উপরে তীতের আনন্দে আরও প্রচুর আনন্দ লাভ করলাম, কারণ তোমাদের সকলের দ্বারা তিনি মনে খুবই শন্তি লাভ করেছেন।
14 কেননা তাঁর কাছে আমি কোন বিষয়ে যদি তোমাদের জন্য গর্ব করে থাকি, তাতে লজ্জিত হই নি; কিন্তু আমরা যেমন তোমাদের কাছে সব কথাই সত্যভাবে বলেছি তেমনি তীতের কাছে আমাদের কৃত সেই গর্বও সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
15 আর তোমরা সকলে কেমন বাধ্য ছিলে, কেমন সভয়ে ও সকম্পে তাঁকে গ্রহণ করেছিলে, তা স্মরণ করতে করতে তোমাদের প্রতি তাঁর স্নেহ অধিক প্রবল হয়েছে।
16 আমি আনন্দ করছি, কারণ সর্ববিষয়ে তোমাদের উপরে আমি নির্ভর করতে পারি।