1 অতএব হে আমার সন্তান, তুমি মসীহ্ ঈসাতে স্থিত অনুগ্রহে বলবান হত্ত।
2 আর অনেক সাক্ষীর মুখে আমার যেসব শিক্ষার কথা শুনেছ, সেসব এমন বিশ্বস্ত লোকদেরকে দাও, যারা অন্য লোকদেরকেও শিক্ষা দিতে সক্ষম হবে।
3 তুমি মসীহ্ ঈসার উত্তম যোদ্ধার মত আমার সঙ্গে দুঃখভোগ স্বীকার কর।
4 কেউ যুদ্ধ করার সময়ে সাংসারিক ব্যাপারে নিজেকে জড়িত হতে দেয় না, যেন তাকে যে ব্যক্তি যোদ্ধা করে নিযুক্ত করেছে, তারই তুষ্টিকর হতে পারে।
5 আবার কোন ব্যক্তি যদি মল্লযুদ্ধ করে, সে যদি নিয়ম মত যুদ্ধ না করে তবে জয়ের মুকুটে বিভূষিত হয় না।
6 যে কৃষক পরিশ্রম করে, তারই প্রথমে ফসলের ভাগ পাওয়া উচিত।
7 আমি যা বলি, তা বিবেচনা কর; কারণ প্রভু সমস্ত বিষয়ে তোমাকে বুদ্ধি দেবেন।
8 স্মরণে রেখো, দাউদের বংশজাত ঈসা মসীহ্ মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন— এটাই আমার ইঞ্জিল।
9 এই ইঞ্জিল তবলিগের জন্যই দুঃখভোগ করছি, এমন কি, দুষ্কর্মকারীর মত আমাকে শিকলে বাঁধা হয়েছে; কিন্তু আল্লাহ্র কালাম তো শিকল দিয়ে বাঁধা হয় নি।
10 এই জন্য আমি মনোনীতদের জন্য সমস্ত কিছুই সহ্য করি, যেন তারাও অনন্তকালীন মহিমার সঙ্গে মসীহ্ ঈসাতে স্থিত নাজাত লাভ করে।
11 এই কথা বিশ্বাসযোগ্য যে,আমরা যদি তাঁর সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেথাকি,তবে তাঁর সঙ্গে জীবিতও থাকব;
12 যদি সহ্য করি, তাঁর সঙ্গে রাজত্বওকরবো;যদি তাঁকে অস্বীকার করি,তবে তিনিও আমাদেরকে অস্বীকারকরবেন।
13 আমরা যদি অবিশ্বস্ত হই,তবুও তিনি বিশ্বস্ত থাকেন;কারণ তিনি নিজেকে অস্বীকার করতেপারেন না।
14 এসব কথা সকলকে স্মরণ করিয়ে দাও, প্রভুর সাক্ষাতে তাদের সাবধান কর, যেন লোকেরা তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চলে, কেননা তাতে কোন ফল হয় না, বরং যারা শোনে তাদের সর্বনাশ হয়।
15 তুমি আল্লাহ্র কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক হিসেবে নিজেকে উপস্থিত করতে প্রাণপণ চেষ্টা কর; এমন কার্যকারী হও, যার লজ্জা পাবার কোন কারণ নেই, যে সত্যের কালাম যথার্থভাবে ব্যবহার করতে জানে।
16 কিন্তু ভক্তিহীন অসার কথাবার্তা থেকে দূরে থাক; কেননা সেই সমস্ত কথাবার্তা লোকদেরকে ভক্তি লঙ্ঘনে বেশি অগ্রসর করে তোলে;
17 এবং তাদের কথাবার্তা দুষ্ট ক্ষতের মত ছড়িয়ে পড়বে। এদের মধ্যে আছে হুমিনায় ও ফিলীত।
18 এরা সত্যের সম্বন্ধে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে, বলছে, পুনরুত্থান ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে এবং কারো কারো ঈমান উল্টে ফেলছে।
19 তবুও আল্লাহ্-স্থাপিত দৃঢ় ভিত্তিমূল স্থির রয়েছে, তার উপরে এই কথা সীলমোহর করা হয়েছে, “প্রভু জানেন, কারা তাঁর লোক” এবং “যে কেউ প্রভুকে ডাকে, সে অধার্মিকতা থেকে দূরে থাকুক।”
20 কিন্তু কোন বড় বাড়িতে কেবল সোনার ও রূপার পাত্র নয়, কাঠের ও মাটির পাত্রও থাকে; তার কতগুলো সমাদরের, কতগুলো অনাদরের পাত্র।
21 অতএব যদি কেউ নিজেকে ঐসব মন্দতা থেকে পাক-পবিত্র রাখে, তবে সে এমন পাত্রের মত যা সমাদরের, উৎসর্গীকৃত, মালিকের কাজের উপযোগী এবং সমস্ত সৎকর্মের জন্য প্রস্তুত হবে।
22 কিন্তু তুমি যৌবনকালের অভিলাষ থেকে পালিয়ে যাও; এবং যারা পবিত্র অন্তরে প্রভুকে ডাকে তাদের সঙ্গে ধার্মিকতা, ঈমান, মহব্বত ও শান্তির জন্য কঠোরভাবে চেষ্টা কর।
23 কিন্তু মূঢ় ও অজ্ঞান তর্ক-বিতর্ক থেকে দূরে থাক; তুমি তো জান এসব শেষ পর্যন্ত ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টি করে।
24 আর ঝগড়া-বিবাদ করা প্রভুর গোলামের উপযুক্ত নয়; কিন্তু তাকে হতে হবে সকলের প্রতি কোমল, শিক্ষাদানে নিপুণ, সহনশীল;
25 এবং কোমলভাবে বিরোধীদেরকে শাসন করা তার উচিত। হয় তো আল্লাহ্ তাদেরকে মন পরিবর্তনের সুযোগ দান করবেন যেন তারা সত্যের তত্ত্বজ্ঞান লাভ করে,
26 যেন ইবলিসের ফাঁদ থেকে পালিয়ে আসতে পারে, কারণ ইবলিস তার ইচ্ছা পালন করার জন্য তাদের বন্দী করে রেখেছে।