1 এখন প্রিয়তমেরা, আমি এই দ্বিতীয় পত্র তোমাদেরকে লিখছি। উভয় পত্রে তোমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তোমাদের সরল চিত্তকে জাগিয়ে তুলছি,
2 যেন তোমরা পবিত্র নবীরা যে সব কথা বলে গেছেন সেই কালামগুলো এবং তোমাদের প্রেরিতদের মধ্য দিয়ে দেওয়া নাজাতদাতা প্রভুর হুকুমগুলো স্মরণ কর।
3 প্রথমে এই কথা জেনো যে, শেষকালে উপহাসকারীরা উপহাস করার জন্য উপস্থিত হবে; তারা নিজ নিজ অভিলাষ অনুসারে চলবে,
4 এবং বলবে, তাঁর আগমনের ওয়াদা কোথায়? কেননা সৃষ্টির আরম্ভ থেকে যেমন চলছে, ঠিক তেমনি আমাদের পূর্বপুরুষদের মৃত্যুর পর থেকে একই রকমভাবে সমস্ত কিছু চলছে।
5 বস্তুত সেই লোকেরা ইচ্ছা করেই এই কথা ভুলে যায় যে, বহু দিন আগেই আল্লাহ্র কালামের গুণে আসমান সৃষ্টি হয়েছিল ছিল এবং পানি থেকে ও পানি দ্বারা এই দুনিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল।
6 তখনকার সেই দুনিয়া বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
7 আবার সেই কালামের গুণে এই বর্তমান কালের আসমান ও দুনিয়া আগুনে পুড়িয়ে দেবার জন্য রাখা হয়েছে, ভক্তিহীন মানুষের বিচার ও বিনাশের দিন পর্যন্ত তা রক্ষা করা হচ্ছে।
8 কিন্তু প্রিয়তমেরা, তোমরা এই একটি বিষয় ভুলে যেও না, প্রভুর কাছে একদিন হাজার বছরের সমান এবং হাজার বছর এক দিনের সমান।
9 প্রভু নিজের ওয়াদা পালনে বিলম্ব করেন না, যেমন কেউ কেউ মনে করেন তিনি বিলম্ব করেন— কিন্তু তোমাদের পক্ষে তিনি দীর্ঘসহিষ্ণু; কেউ যে বিনষ্ট হয়, তা তিনি চান না, বরং তিনি চান যেন সকলে মন পরিবর্তন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
10 কিন্তু প্রভুর দিন চোরের মত আসবে; তখন আসমান হূহূ আওয়াজ করে উড়ে যাবে এবং মূলবস্তুগুলো পুড়ে গিয়ে বিলীন হবে এবং দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে সমস্তই পুড়ে যাবে।
11 এভাবে যখন এ সবই বিলীন হবে, তখন তোমাদেরও পবিত্র আচার ব্যবহার ও ভক্তিতে কি রকম লোক হওয়া উচিত!
12 আল্লাহ্র সেই দিনের আগমনের অপেক্ষা ও আকাঙ্খা করতে করতে সেরকম হওয়া চাই, যে দিনে আসমান আগুনে জ্বলে বিলীন হবে এবং মূলবস্তুগুলো পুড়ে গলে যাবে।
13 কিন্তু তাঁর ওয়াদা অনুসারে আমরা এমন নতুন আসমানের ও নতুন দুনিয়ার অপেক্ষায় আছি, যার মধ্যে ধার্মিকতা বাস করে।
14 অতএব, প্রিয়তমেরা, তোমরা যখন এই সকলের অপেক্ষা করছো, তখন যত্ন কর যেন তাঁর কাছে তোমাদেরকে নিষ্কলঙ্ক ও নির্দোষ অবস্থায় শান্তিতে দেখতে পাওয়া যায়।
15 আর আমাদের প্রভুর ধৈর্যকে নাজাত পাবার সুযোগ বলে মনে কর; যেমন আমাদের প্রিয় ভাই পৌলও তাঁকে দেওয়া জ্ঞান অনুসারে তোমাদের লিখেছেন,
16 আর যেমন তাঁর সকল পত্রেও এই বিষয়ের প্রসঙ্গ করে তিনি এই রকম কথা বলেন; তার মধ্যে কোন কোন কথা বোঝা কষ্টকর; অজ্ঞান ও চঞ্চল লোকেরা যেমন অন্য সমস্ত কিতাবের কথা, তেমনি সেই কথাগুলোরও বিরূপ অর্থ করে নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে।
17 অতএব, প্রিয়তমেরা, তোমরা এসব আগে জেনেছ বলে সাবধান থাক, যেন ধর্মহীনদের ভ্রান্তিতে আকৃষ্ট হয়ে নিজের স্থিরতা থেকে পদস্খলিত না হও;
18 কিন্তু আমাদের প্রভু ও নাজাতদাতা ঈসা মসীহের রহমত ও জ্ঞানে বৃদ্ধি লাভ কর। এখন ও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁর গৌরব হোক। আমিন।