15 এখন তোমরা যদি শিংগা, বাঁশী, সুরবাহার, ছোট ও বড় বীণা, বড় বাঁশী ও অন্যান্য সব রকম বাজনার শব্দ শুনে উবুড় হয়ে পড়ে আমার তৈরী মূর্তিকে প্রণাম করতে প্রস্তুত থাক তাহলে তো ভাল। কিন্তু যদি প্রণাম না কর তবে জ্বলন্ত চুল্লীতে তখনই তোমাদের ফেলে দেওয়া হবে। তখন কোন্ দেবতা আমার হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করতে পারবে?”
16 তখন শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগো উত্তরে রাজাকে বললেন, “হে মহারাজ নবূখদ্নিৎসর, এই ব্যাপারে আপনাকে উত্তর দেবার কোন দরকার আমরা মনে করি না।
17 আমরা যে ঈশ্বরের সেবা করি তিনি যদি চান তবে সেই জ্বলন্ত চুল্লী থেকে ও আপনার হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করবেন।
18 কিন্তু হে মহারাজ, তিনি যদি তা না-ও করেন তবুও আমরা আপনার দেবতাদের সেবা করব না কিম্বা আপনার স্থাপন করা সোনার মূর্তিকে প্রণাম করব না।”
19 তখন শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগোর উপর নবূখদ্নিৎসর ভীষণ রেগে গেলেন এবং তাঁর মুখে রাগের ভাব ফুটে উঠল। চুল্লীটা যেমন গরম থাকে তিনি সেটা তার চেয়েও সাতগুণ বেশী গরম করতে বললেন।
20 তিনি তাঁর সৈন্যদলের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কয়েকজন সৈন্যকে আদেশ দিলেন যেন তারা শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগোকে বেঁধে জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেয়।
21 তখন ঐ তিনজনকে জামা, পাজামা, পাগড়ী ও অন্যান্য কাপড়-চোপড় পরা অবস্থায় বেঁধে জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেওয়া হল।