23 আর সেই তিনজন বাঁধা অবস্থায় জ্বলন্ত চুল্লীতে পড়লেন।
24 তখন রাজা নবূখদ্নিৎসর আশ্চর্য হয়ে লাফিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁর পরামর্শদাতাদের বললেন, “আমরা কি তিনজন লোককে বেঁধে আগুনে ফেলে দিই নি?”তারা উত্তর দিল, “হ্যাঁ, মহারাজ।”
25 তিনি বললেন, “কিন্তু আমি চারজন লোককে আগুনের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখছি। তারা বাঁধা অবস্থায় নেই এবং তাদের কোন ক্ষতিও হয় নি, আর চতুর্থ জনকে দেখতে দেবতার মত লাগছে।”
26 তখন নবূখদ্নিৎসর জ্বলন্ত চুল্লীর মুখের কাছে এগিয়ে গিয়ে চিৎকার করে বললেন, “হে মহান ঈশ্বরের দাস শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগো, তোমরা বের হয়ে এখানে এস।”এতে শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগো আগুন থেকে বের হয়ে আসলেন।
27 তখন প্রদেশগুলোর শাসনকর্তারা ও প্রধান পরিচালকেরা, বিভাগের শাসনকর্তারা এবং অন্যান্য সব উঁচু পদের কর্মচারীরা তাঁদের কাছে এসে ভিড় করলেন। তাঁরা দেখলেন আগুন তাঁদের দেহের কোন ক্ষতি করে নি, তাঁদের মাথার একটা চুলও পোড়ে নি, পোশাকও নষ্ট হয় নি এবং তাঁদের গায়ে আগুনের গন্ধও নেই।
28 তখন নবূখদ্নিৎসর বললেন, “শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগোর ঈশ্বরের গৌরব হোক, যিনি তাঁর স্বর্গদূতকে পাঠিয়ে তাঁর দাসদের উদ্ধার করলেন। এরা তাঁর উপরেই বিশ্বাস করে রাজার আদেশ অগ্রাহ্য করেছিল এবং তাদের নিজের ঈশ্বর ছাড়া অন্য কোন দেবতার সেবা ও পূজা করবার বদলে মরতেও রাজী ছিল।
29 সেইজন্য আমি এই আদেশ দিচ্ছি যে, কোন জাতির, দেশের বা ভাষার লোক যদি শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগোর ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কিছু বলে তবে তাকে টুকরা টুকরা করে কেটে ফেলা হবে এবং তার বাড়ী-ঘর আবর্জনার স্তূপ করা হবে, কারণ আর কোন দেবতা এইভাবে উদ্ধার করতে পারেন না।”