10 হুকুমে স্বাক্ষর দেওয়া হয়ে গেছে শুনে দানিয়েল তাঁর বাড়ীর উপর তলার ঘরে গেলেন; সেই ঘরের জানলা যিরূশালেমের দিকে খোলা ছিল। তিনি নিজের অভ্যাস মতই দিনে তিনবার হাঁটু পেতে প্রার্থনা করে তাঁর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন।
11 তখন সেই লোকেরা দল বেঁধে সেখানে গিয়ে দানিয়েলকে ঈশ্বরের কাছে প্রার্র্থনা করতে ও মিনতি জানাতে দেখলেন।
12 এতে তাঁরা রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে তাঁর দেওয়া হুকুমের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, “হে মহারাজ, আপনি কি এই হুকুম জারি করেন নি যে, এর পরের ত্রিশ দিনের মধ্যে যদি কেউ আপনি ছাড়া কোন দেবতা বা মানুষের কাছে প্রার্থনা করে তবে তাকে সিংহের গর্তে ফেলে দেওয়া হবে?”রাজা উত্তর দিলেন, “মাদীয় ও পারসীকদের আইন অনুসারে এই হুকুম স্থির আছে, কারণ সেই আইন বাতিল করা যায় না।”
13 তখন তাঁরা রাজাকে বললেন, “হে মহারাজ, দানিয়েল নামে যিহূদা দেশের বন্দীদের একজন আপনার কথায় কিম্বা যে হুকুমে আপনি স্বাক্ষর করেছেন তাতে কান দেয় না। সে এখনও দিনে তিনবার প্রার্থনা করে।”
14 রাজা এই কথা শুনে খুবই দুঃখিত হলেন; দানিয়েলকে তিনি রক্ষা করবেন বলে মনে মনে স্থির করলেন এবং তাঁকে উদ্ধার করবার জন্য সূর্য না ডোবা পর্যন্ত সব রকমে চেষ্টা করলেন।
15 তখন সেই লোকেরা আবার দল বেঁধে রাজার কাছে গিয়ে বললেন, “হে মহারাজ, আপনি মনে রাখবেন যে, মাদীয় ও পারসীকদের আইন অনুসারে রাজা যে হুকুম জারি করেন তা আর বদলানো যায় না।”
16 শেষে রাজা আদেশ দিলেন আর লোকেরা দানিয়েলকে নিয়ে এসে সিংহের গর্তে ফেলে দিল। তখন রাজা দানিয়েলকে বললেন, “তুমি সব সময় যাঁর সেবা কর সেই ঈশ্বরই যেন তোমাকে রক্ষা করেন।”