1 সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু বলছেন, “দেখ, আমি আমার সংবাদদাতাকে পাঠাচ্ছি; সে আমার আগে গিয়ে পথ প্রস্তুত করবে। তারপর যে প্রভুর জন্য তোমরা অপেক্ষা করছ তিনি হঠাৎ তাঁর ঘরে আসবেন; ব্যবস্থা কাজে পরিণতকারী সেই দূত, যাঁকে তোমরা চাইছ, তিনি আসছেন।”
2 কিন্তু তাঁর আসবার দিন কেউ সহ্য করতে পারবে না; তিনি উপস্থিত হলে কেউ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না; কারণ তিনি হবেন রূপা যাচাই করবার আগুন অথবা ধোপার সাবানের মত।
3 যে লোক রূপা গলিয়ে খাঁটি করে তিনি তার মত হয়ে বসবেন। তিনি লেবীয়দের শুচি করবেন এবং সোনা ও রূপার মত করে তাদের খাঁটি করবেন। তারপর তারা সততার মনোভাব নিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গের অনুষ্ঠান করবে।
4 তখন আগেকার দিনের মত করে, পুরানো দিনের মত করে যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকদের উৎসর্গের জিনিস সদাপ্রভুকে সন্তুষ্ট করবে।
5 সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু বলছেন, “তখন আমি বিচার করবার জন্য তোমাদের কাছে আসব; সেই সময় যাদুকর, ব্যভিচারী, মিথ্যা সাক্ষী এবং যারা মজুরদের মজুরিতে ঠকায়, যারা বিধবা ও অনাথদের অত্যাচার করে আর বিদেশীদের ন্যায়বিচার পেতে দেয় না, অর্থাৎ যারা আমাকে ভয় করে না তাদের সকলের বিরুদ্ধে আমি সাক্ষ্য দিতে দেরি করব না।
6 “আমি সদাপ্রভু, আমার কোন পরিবর্তন নেই। সেইজন্য হে যাকোবের বংশধরেরা, তোমরা ধ্বংস হচ্ছ না।
7 তোমাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকেই তোমরা আমার সব নিয়ম-কানুন থেকে সরে গেছ এবং তা পালন কর নি। আমার কাছে ফিরে এস, আর আমিও তোমাদের কাছে ফিরে আসব। কিন্তু তোমরা বলছ, ‘আমরা কেমন করে ফিরে আসব?’
8 মানুষ কি ঈশ্বরকে ঠকাবে? কিন্তু তোমরা তো আমাকে ঠকাচ্ছ। তবুও তোমরা বলছ, ‘আমরা তোমাকে কি করে ঠকাচ্ছি?’ দশমাংশ ও দানের ব্যাপারে তোমরা আমাকে ঠকাচ্ছ।
9 তোমরা অভিশাপের তলায় রয়েছ, তবুও তোমাদের গোটা জাতি আমাকে ঠকাচ্ছে।
10 তোমরা তোমাদের সমস্ত দশমাংশ ভাণ্ডার-ঘরে আনবে যাতে আমার ঘরে খাবার থাকে। এই বিষয়ে তোমরা আমাকে পরীক্ষা করে দেখ, আমি সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু আকাশের সব দরজা খুলে তোমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত আশীর্বাদ ঢেলে দিই কি না।
11 আমি গ্রাসকারী পোকাকে বাধা দেব যাতে তারা তোমাদের ফসল খেয়ে না ফেলে; এছাড়া তোমাদের ক্ষেতে আংগুর লতার ফল ঝরে পড়বে না।
12 তখন সমস্ত জাতি তোমাদের ধন্য বলবে, কারণ তোমাদের দেশটা হবে আনন্দদায়ক। আমি সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু এই কথা বলছি।”
13 সদাপ্রভু আবার বলছেন, “তোমরা আমার বিরুদ্ধে শক্ত শক্ত কথা বলেছ, কিন্তু তোমরা বলছ, ‘তোমার বিরুদ্ধে আমরা কি বলেছি?’
14 তোমরা বলেছ, ‘ঈশ্বরের সেবা করা অনর্থক। তাঁর আইন-কানুন অনুসারে কাজ করাতে এবং শোক প্রকাশ করে সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভুর সামনে চলাফেরা করাতে আমাদের কি লাভ হল?
15 এখন আমরা গর্বিত লোকদের ধন্য বলছি; হ্যাঁ, অন্যায়কারীরা উন্নতি করছে; তারা ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেও রেহাই পাচ্ছে।’ ”
16 তখন যারা সদাপ্রভুকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করত তারা একে অন্যের সংগে কথাবার্তা বলল এবং সদাপ্রভু তা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। যারা সদাপ্রভুকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করত ও তাঁর বিষয় গভীরভাবে চিন্তা করত তাদের স্মরণ করবার জন্য তাঁর সামনে একটা বই লেখা হল।
17 তাদের বিষয়ে সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু বলছেন, “আমার নির্দিষ্ট করা দিনে তারা আমার নিজের বিশেষ সম্পত্তি হবে; তারা আমারই হবে। একজন লোক যেমন তার সেবাকারী ছেলেকে মমতা করে শাস্তি থেকে রেহাই দেয় তেমনি করে আমি তাদের রেহাই দেব।
18 তখন তোমরা সৎ ও দুষ্টের মধ্যে, অর্থাৎ যে আমার সেবা করে আর যে করে না তাদের মধ্যে আমি কিভাবে পার্থক্য করি তা দেখতে পাবে।”