1 অন্যান্য ইস্রায়েলীয়েরা কনান দেশে সম্পত্তি হিসাবে জায়গা-জমি পেল। পুরোহিত ইলীয়াসর, নূনের ছেলে যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলীয়দের ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীর পরিবার-কর্তারা তাদের তা ভাগ করে দিলেন।
2 সদাপ্রভু মোশির মধ্য দিয়ে যেমন নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই মতই ইস্রায়েলীয়দের সাড়ে নয় গোষ্ঠীর মধ্যে গুলিবাঁট করে সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।
3 মোশি আড়াই গোষ্ঠীর সম্পত্তি যর্দনের পূর্ব দিকে আগেই দিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি লেবি-গোষ্ঠীকে ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে কোন সম্পত্তি দেন নি।
4 মনঃশি আর ইফ্রয়িম নামে যোষেফের দুই ছেলের মধ্য দিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছিল। লেবীয়েরা জমির ভাগ পেল না বটে, কিন্তু তারা বাস করবার ও জিনিসপত্র রাখবার জন্য কতগুলো গ্রাম ও শহর এবং গরু-ভেড়া চরাবার জন্য আশেপাশের মাঠ পেল।
5 সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ দিয়েছিলেন ইস্রায়েলীয়েরা সেই অনুসারেই দেশটা ভাগ করে নিয়েছিল।
6 যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকেরা গিল্গলে যিহোশূয়ের কাছে গেল এবং কনিসীয় যিফুন্নির ছেলে কালেব তাঁকে বললেন, “সদাপ্রভু কাদেশ-বর্ণেয়তে ঈশ্বরের লোক মোশির কাছে আমার ও আপনার সম্বন্ধে যা বলেছিলেন তা আপনার জানা আছে।
7 সদাপ্রভুর দাস মোশি দেশটার খোঁজ-খবর নিয়ে আসবার জন্য যখন আমাকে কাদেশ-বর্ণেয় থেকে পাঠিয়েছিলেন তখন আমার বয়স ছিল চল্লিশ বছর। দেশটা দেখেশুনে আমি যা বুঝতে পেরেছিলাম সেই অনুসারেই আমি তাঁর কাছে খবর এনে দিয়েছিলাম,
8 কিন্তু যে ভাইয়েরা আমার সংগে গিয়েছিল তারা লোকদের নিরাশ করে তুলেছিল। তবে আমি আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা পুরোপুরিই মেনে চলেছিলাম।
9 সেইজন্য মোশি সেই দিন আমার কাছে শপথ করে বলেছিলেন, ‘তুমি যে জায়গাটা ঘুরে দেখে এসেছ তা চিরকালের জন্য তোমার ও তোমার বংশধরদের সম্পত্তি হয়ে থাকবে, কারণ তুমি আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা পুরোপুরিই মেনে চলেছিলে।’
10 “মরু-এলাকায় যখন ইস্রায়েলীয়েরা ঘুরে বেড়াচ্ছিল আর সদাপ্রভু মোশিকে এই কথা বলেছিলেন তখন থেকে তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুসারে এই পঁয়তাল্লিশ বছর তিনি আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, আর এখন আমার বয়স পঁচাশি বছর হয়েছে।
11 মোশি যেদিন আমাকে পাঠিয়েছিলেন সেই দিনের মত আজও আমি শক্তিশালী আছি; তখনকার মত এখনও আমার যুদ্ধে যাবার এবং সমস্ত কাজ করবার শক্তি আছে।
12 এই যে পাহাড়ী এলাকাটা দেবার প্রতিজ্ঞা সদাপ্রভু সেদিন আমার কাছে করেছিলেন তা আপনি আমাকে দিন। সেই সময় আপনি নিজেই শুনেছিলেন যে, অনাকীয়েরা সেখানে বাস করে আর তাদের শহরগুলোও বেশ বড় বড় এবং দেয়াল-ঘেরা। কিন্তু সদাপ্রভু আমার সংগে থাকলে তাঁর কথা অনুসারেই আমি তাদের তাড়িয়ে দেব।”
13 এই কথা শুনে যিহোশূয় যিফুন্নির ছেলে কালেবকে আশীর্বাদ করলেন এবং সম্পত্তি হিসাবে হিব্রোণ শহরটা তাঁকে দিলেন।
14 সেই থেকে হিব্রোণ কনিসীয় যিফুন্নির ছেলে কালেবের অধিকারে রয়েছে, কারণ তিনি ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা পুরোপুরিই মেনে চলেছিলেন।
15 অনাকীয়দের মধ্যে অর্ব নামে একজন ক্ষমতাশালী লোকের নাম অনুসারে হিব্রোণকে আগে কিরিয়ৎ-অর্ব বলা হত।এর পর দেশে যুদ্ধ থেমে গিয়েছিল।