12 মা, তোমরা বাড়ী ফিরে যাও। বিয়ে করবার বয়স আর আমার নেই। ধর, ছেলে হওয়ার আশা আছে মনে করে যদি আজ রাতেই আমি আমার স্বামীর কাছে যাই এবং আমার ছেলে হয়ও,
13 তবে তারা বড় হওয়া পর্যন্ত কি তোমরা অপেক্ষা করবে? তাদের জন্য কি তোমরা বিয়ে না করে থাকবে? না, মা, না। তোমাদের চেয়ে আমার জীবন আরও অনেক তেতো, কারণ সদাপ্রভু আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।”
14 এই কথা শুনে তারা আবার জোরে জোরে কাঁদতে লাগল। তারপর অর্পা তার শাশুড়ীকে চুম্বন করে বিদায় নিল কিন্তু রূত তাকে ছেড়ে গেল না।
15 তখন নয়মী বলল, “দেখ, তোমার জা তার নিজের লোকদের ও তার দেবতার কাছে ফিরে যাচ্ছে। তুমিও তার সাথে যাও।”
16 কিন্তু রূত বলল, “আপনাকে ছেড়ে চলে যাবার জন্য আপনি আমাকে জোর করবেন না, কিম্বা আপনার সংগে যেতে আমাকে বারণ করবেন না। আপনি যেখানে যাবেন আমিও সেখানে যাব আর আপনি যেখানে থাকবেন আমিও সেখানে থাকব। আপনার লোকেরাই হবে আমার লোক আর আপনার ঈশ্বরই হবেন আমার ঈশ্বর।
17 আপনি যেখানে মরবেন আমিও সেখানে মরব আর সেখানেই যেন আমার কবর হয়। এক মৃত্যু ছাড়া আর অন্য কিছু যদি আমাদের আলাদা করে তবে সদাপ্রভু যেন আমাকে শাস্তি দেন এবং তা ভীষণভাবেই দেন।”
18 নয়মী যখন বুঝতে পারল যে, রূত তার সংগে যাবার জন্য মন স্থির করে ফেলেছে তখন সে তাকে আর কিছু বলল না।