1 বোয়স গ্রামের ফটকে গিয়ে বসলেন। দায়িত্ব বহনকারী যে জ্ঞাতির কথা বোয়স বলেছিলেন তিনি তখন সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। বোয়স তাঁকে ডেকে বললেন, “ভাই, এখানে এসে বসুন।” লোকটি তখন সেখানে গিয়ে বসলেন।
2 বোয়স তারপর গ্রামের দশজন বৃদ্ধ নেতাকে ডেকে বললেন, “আপনারা এখানে বসুন।” তখন তাঁরাও বসলেন।
3 বোয়স সেই জ্ঞাতিকে বললেন, “নয়মী মোয়াব দেশ থেকে ফিরে এসে আমাদের ভাই ইলীমেলকের জমিটুকু বিক্রি করতে চাইছেন।
4 তাই আমি ভাবলাম ব্যাপারটা আপনাকে জানানো দরকার। এখানে উপস্থিত লোকদের সামনে এবং আমার জাতির বৃদ্ধ নেতাদের সামনে আপনিই সেটা কিনুন। আপনি যদি জমিটা ছাড়িয়ে নিতে চান তবে নিন। কিন্তু আপনি যদি তা না চান তবে আমাকে বলুন, কারণ তা ছাড়িয়ে নেবার অধিকার প্রথমে আপনার, আর আপনার পরে আমার।”তখন সেই জ্ঞাতি বললেন, “ঠিক আছে, আমিই ওটা ছাড়িয়ে নেব।”
5 এতে বোয়স বললেন, “আপনি যেদিন সেই জমিটা নয়মীর কাছ থেকে কিনবেন সেই দিন মৃত লোকটির সম্পত্তির সংগে তাঁর নাম রক্ষা করবার জন্য মোয়াবীয় বিধবা রূতকেও আপনাকে গ্রহণ করতে হবে।”
6 এই কথা শুনে সেই জ্ঞাতি বললেন, “আমি তা করতে পারব না, কারণ আমার নিজের সম্পত্তি নিয়ে তখন আমি বিপদে পড়ে যাব। আমি যখন তা ছাড়িয়ে নিতে পারছি না তখন আপনিই নিন।”
7 ছাড়িয়ে নেওয়া এবং সম্পত্তি বেচা-কেনার সমস্ত ব্যাপারটা আইনগত করবার জন্য আগেকার দিনে ইস্রায়েলীয়দের দেশের নিয়ম ছিল এই: একজন তার জুতা খুলে অন্যকে দিত, আর এইভাবে তাদের কাজ-কারবার আইনের আওতায় আনা হত।
8 কাজেই সেই জ্ঞাতি বোয়সকে বললেন, “আপনিই ওটা কিনে নিন।” এই বলে তিনি তাঁর জুতা খুললেন।
9 তখন বোয়স বৃদ্ধ নেতাদের এবং সেখানকার সবাইকে বললেন, “আমি যে নয়মীর কাছ থেকে ইলীমেলক, কিলিয়োন ও মহলোনের সমস্ত সম্পত্তি কিনে নিলাম আজ আপনারা তার সাক্ষী হলেন।
10 মৃত লোকের সম্পত্তি ও নাম যাতে রক্ষা পায় সেইজন্য আমি মহলোনের বিধবা স্ত্রী মোয়াবীয় রূতকেও স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করলাম। এতে বংশের মধ্য থেকে এবং গ্রামের মধ্য থেকে মৃত লোকটির নাম মুছে যাবে না। আপনারা আজ এই সমস্ত বিষয়ের সাক্ষী হলেন।”
11 তখন যাঁরা ফটকে বসে ছিলেন তাঁরা আর সেই বৃদ্ধ নেতারা সবাই বললেন, “হ্যাঁ, আমরা সাক্ষী হলাম। যে স্ত্রীলোকটি আপনার ঘরে যাচ্ছে সদাপ্রভু করুন যেন সে রাহেল ও লেয়ার মত হয়, যাঁরা ইস্রায়েল জাতি গড়ে তুলেছিলেন। ইফ্রাথায় আপনি ধন লাভ করুন এবং বৈৎলেহমে সবাই আপনার সুনাম করুক।
12 এই স্ত্রীলোকের গর্ভে সদাপ্রভু আপনাকে যে সন্তান দেবেন তার মধ্য দিয়ে আপনার বংশ যেন তামরের গর্ভের যিহূদার ছেলে পেরসের বংশের মত হয়।”
13 এর পর বোয়স রূতকে বিয়ে করলেন এবং রূত তাঁর স্ত্রী হল। বোয়স তার কাছে গেলে পর সদাপ্রভু রূতের গর্ভে সন্তান দিলেন এবং তার একটি ছেলে হল।
14 এতে অন্যান্য স্ত্রীলোকেরা নয়মীকে বলল, “ধন্য সদাপ্রভু, কারণ তিনি তোমাকে আজ একজন দায়িত্ব বহনকারী আত্মীয় দিলেন। ইস্রায়েলীয়দের দেশের মধ্যে সবাই তার সুনাম করুক।
15 ছেলেটি যেন তোমাকে সতেজ করে তোলে এবং তোমার বুড়ো বয়সে তোমার দেখাশোনা করে, কারণ তোমার ছেলের বৌ, যে তোমাকে ভালবাসে এবং যে তোমার কাছে সাত ছেলের চেয়েও বেশী, তারই গর্ভে ছেলেটির জন্ম হয়েছে।”
16 তখন নয়মী ছেলেটিকে কোলে নিল এবং তার দেখাশোনা করতে লাগল।
17 প্রতিবেশী স্ত্রীলোকেরা বলল, “নয়মীর একটা ছেলে হয়েছে।” তারা ছেলেটির নাম রাখল ওবেদ। ওবেদ ছিলেন যিশয়ের বাবা আর যিশয় ছিলেন দায়ূদের বাবা।
18 এই হল পেরসের বংশের তালিকা: পেরসের ছেলে হিষ্রোণ;
19 হিষ্রোণের ছেলে রাম; রামের ছেলে অম্মীনাদব;
20 অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন; নহশোনের ছেলে সল্মোন;
21 সল্মোনের ছেলে বোয়স; বোয়সের ছেলে ওবেদ;
22 ওবেদের ছেলে যিশয় এবং যিশয়ের ছেলে দায়ূদ।