18 সে সেই যব নিয়ে গ্রামে ফিরে গেল। সে যে পরিমাণ শীষ কুড়িয়েছিল তার শাশুড়ী তা দেখলেন। পেট ভরে খাবার পর বাকী যে খাবার সে রেখে দিয়েছিল তা বের করে তার শাশুড়ীকে দিল।
19 তার শাশুড়ী তাকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি আজ কোথায় কুড়িয়েছ, কোথায় কাজ করেছ? যিনি তোমার প্রতি নজর রেখেছেন ঈশ্বর তাঁকে আশীর্বাদ করুন।”তখন রূত কার জমিতে কাজ করেছে তা তার শাশুড়ীকে জানাল। সে বলল, “আমি যাঁর ক্ষেতে কাজ করেছি তাঁর নাম বোয়স।”
20 এই কথা শুনে নয়মী তার ছেলের বৌকে বলল, “সদাপ্রভু, যিনি জীবিত বা মৃত কারও প্রতি অবিশ্বস্ত হন না তিনি তাঁকে আশীর্বাদ করুন।” সে আরও বলল, “ঐ লোকটি আমাদের নিকট আত্মীয়। যে জ্ঞাতিদের উপর আমার স্বামীর সমস্ত কিছু ছাড়িয়ে নেবার ও রক্ষা করবার দায়িত্ব রয়েছে উনি তাঁদের মধ্যে একজন।”
21 মোয়াবীয় রূত বলল, “তিনি আমাকে আরও বলেছেন যে, তাঁর সমস্ত ফসল কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি যেন তাঁর লোকদের সংগে সংগেই থাকি।”
22 তখন নয়মী তার ছেলের বৌকে বলল, “মা, অন্য কোন ক্ষেতে যেন তোমাকে কেউ জ্বালাতন করতে না পারে সেইজন্য তাঁর কাজের মেয়েদের সংগে সংগে থাকাই তোমার পক্ষে ভাল।”
23 কাজেই যতদিন না যব আর গম কাটা শেষ হল ততদিন রূত বোয়সের কাজের মেয়েদের সংগে সংগে থেকে শীষ কুড়াবার কাজ করল। সে তার শাশুড়ীর সংগেই বাস করত।