1 রাজা দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বৎসরে শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল ছিলেন যিহূদার শাসনকর্তা এবং যিহোষাদকের ছেলে যিহোশূয় ছিলেন মহাপুরোহিত। সেই বছরের ষষ্ঠ মাসের প্রথম দিনে সদাপ্রভু নবী হগয়ের মধ্য দিয়ে তাঁদের বললেন,
2 “আমি সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু বলছি যে, এই লোকেরা বলে, ‘সদাপ্রভুর ঘর তৈরীর সময় এখনও আসে নি।’ ”
3 তখন নবী হগয়ের মধ্য দিয়ে সদাপ্রভু আরও বললেন,
4 “এটা কি ঠিক হচ্ছে যে, তোমরা নিজেরা কারুকাজ করা বাড়ীতে থাকছ আর আমার ঘরটা ধ্বংসস্তূপ হয়ে পড়ে আছে?
5 আমি সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু বলছি, তোমরা কিভাবে চলছ তা ভাল করে চিন্তা করে দেখ।
6 তোমরা অনেক বুনেছ, কিন্তু কাটছ অল্প। তোমরা খেয়ে থাক, কিন্তু কখনও তৃপ্ত হও না। তোমরা আংগুর-রস খেয়ে থাক, কিন্তু যথেষ্ট পাও না। তোমরা কাপড়-চোপড় গায়ে দাও, কিন্তু তাতে গা গরম হয় না। তোমরা বেতন পেয়ে ফুটা থলিতে রাখ।
7 কাজেই তোমরা কিভাবে চলছ তা ভাল করে চিন্তা করে দেখ।
8 এবার তোমরা পাহাড়ে উঠে কাঠ নিয়ে এসে উপাসনা-ঘর তৈরী কর, যাতে আমি খুশী ও সম্মানিত হই।
9 “তোমরা অনেক ফসল পাবার আশা করেছিলে, কিন্তু অল্পই পেয়েছ। তোমরা যা ঘরে নিয়ে এসেছিলে তা আমি উড়িয়ে দিয়েছি। কেন দিয়েছি? আমার ঘরের জন্যই তা করেছি, কারণ সেই ঘর ধ্বংস হয়ে পড়ে আছে আর এদিকে তোমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের ঘর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছ।
10 কাজেই তোমাদের জন্য আকাশ তার শিশির পড়া আর জমি ফসল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
11 ক্ষেত-খামার, পাহাড়-পর্বত, শস্য, নতুন আংগুর-রস, তেল ও মাটিতে যা কিছু জন্মায় তার উপরে এবং মানুষ, পশু ও তোমাদের হাতের সব পরিশ্রমের উপরে বৃষ্টি না পড়বার জন্য আমি আদেশ দিয়েছিলাম।”
12 তখন শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল, যিহোষাদকের ছেলে মহাপুরোহিত যিহোশূয় এবং অন্য সব লোকেরা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথামত এবং তাঁর পাঠানো নবী হগয়ের কথামত কাজ করল, কারণ তারা সদাপ্রভুকে ভয় করতে লাগল।
13 তখন সদাপ্রভু তাঁর সংবাদদাতা হগয়ের মধ্য দিয়ে লোকদের বললেন, “আমি সদাপ্রভু তোমাদের সংগে সংগে আছি।”
14 এর পর সদাপ্রভু যিহূদার শাসনকর্তা সরুব্বাবিলের, মহাপুরোহিত যিহোশূয়ের এবং বাকী সব লোকদের অন্তর জাগিয়ে তুললেন। তাতে তারা সবাই এসে তাদের ঈশ্বর সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভুর ঘরের কাজ করতে শুরু করে দিল।
15 সেই কাজ রাজা দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের ষষ্ঠ মাসের চব্বিশ দিনের দিন শুরু হয়েছিল।