16 এছাড়া বিন্যামীন-গোষ্ঠীর অন্য লোকেরা এবং যিহূদার কিছু লোক দায়ূদের সেই দুর্গের মত জায়গায় তাঁর কাছে এসেছিল।
17 দায়ূদ তাদের সংগে দেখা করতে বের হয়ে এসে বললেন, “আপনারা যদি শান্তির মনোভাব নিয়ে আমাকে সাহায্য করতে এসে থাকেন তবে আমি আপনাদের সংগে এক হতে প্রস্তুত আছি, কিন্তু আমি কোন অন্যায় না করলেও যদি বিশ্বাসঘাতকতা করে শত্রুর হাতে আমাকে তুলে দেবার জন্য এসে থাকেন তবে আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর যেন তা দেখেন এবং আপনাদের বিচার করেন।”
18 যিনি পরে “ত্রিশ” নামে দলের নেতা হয়েছিলেন সেই অমাসয়ের উপর সদাপ্রভুর আত্মা আসলেন। তখন তিনি বললেন,“হে দায়ূদ, আমরা আপনারই।হে যিশয়ের ছেলে,আমরা আপনারই পক্ষে।মংগল হোক, আপনার মংগল হোক,মংগল হোক তাদের,যারা আপনাকে সাহায্য করে,কারণ আপনার ঈশ্বরই আপনাকেসাহায্য করেন।”তখন দায়ূদ তাঁদের গ্রহণ করে তাঁর আক্রমণকারী দলের নেতা করলেন।
19 দায়ূদ যখন পলেষ্টীয়দের সংগে শৌলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাচ্ছিলেন তখন মনঃশি-গোষ্ঠীর কিছু লোক নিজেদের দল ছেড়ে দায়ূদের কাছে গিয়েছিলেন। অবশ্য দায়ূদ ও তাঁর লোকেরা পলেষ্টীয়দের সাহায্য করেন নি, কারণ পলেষ্টীয় শাসনকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবার পর দায়ূদকে বিদায় করে দিয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, “তিনি যদি আমাদের ত্যাগ করে তাঁর মনিব শৌলের সংগে গিয়ে যোগ দেন তবে আমাদের মাথা হারাতে হবে।”
20 দায়ূদ সিক্লগে ফিরে যাবার সময় মনঃশি-গোষ্ঠীর যে লোকেরা দল ছেড়ে তাঁর কাছে গিয়েছিলেন তাঁরা হলেন অদ্ন, যোষাবদ, যিদীয়েল, মীখায়েল, যোষাবদ, ইলীহূ ও সিল্লথয়। এঁরা ছিলেন মনঃশি-গোষ্ঠীর এক এক হাজার সৈন্যের সেনাপতি।
21 অন্যান্য আক্রমণকারী দলগুলোর বিরুদ্ধে এঁরা দায়ূদকে সাহায্য করেছিলেন। এঁরা সবাই ছিলেন শক্তিশালী যোদ্ধা এবং দায়ূদের সৈন্যদলের সেনাপতি।
22 এইভাবে দিনের পর দিন লোকেরা দায়ূদকে সাহায্য করতে আসতে লাগল। শেষে ঈশ্বরের সৈন্যদলের মত তাঁর একটা মস্ত বড় সৈন্যদল গড়ে উঠল।