15 এলির বয়স তখন আটানব্বই বছর। তিনি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন বলে দেখতে পেতেন না।
16 লোকটি এলিকে বলল, “আমি সৈন্যদল থেকে এসেছি, আজই পালিয়ে এসেছি।”এলি জিজ্ঞাসা করলেন, “বাবা, খবর কি?”
17 যে লোকটি সংবাদ এনেছিল সে তখন বলল, “পলেষ্টীয়দের সামনে থেকে ইস্রায়েলীয়েরা পালিয়ে গেছে আর অনেক লোক মারা পড়েছে। আপনার দুই ছেলে হফ্নি আর পীনহসও মারা গেছে এবং ঈশ্বরের সিন্দুক শত্রুরা নিয়ে গেছে।”
18 ঈশ্বরের সাক্ষ্য-সিন্দুকের কথা শোনামাত্র এলি ফটকের পাশে তাঁর আসন থেকে পিছন দিকে পড়ে গেলেন। তাতে তাঁর ঘাড় ভেংগে গিয়ে তিনি মারা গেলেন, কারণ তিনি বুড়ো হয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর শরীর ভারী ছিল। তিনি চল্লিশ বছর ইস্রায়েলীয়দের শাসন করেছিলেন।
19 এলির ছেলের বৌ, অর্থাৎ পীনহসের স্ত্রী তখন গর্ভবতী ছিল এবং তার প্রসবের সময়ও ঘনিয়ে এসেছিল। ঈশ্বরের সিন্দুক শত্রুদের হাতে গেছে এবং তার শ্বশুর ও স্বামী মারা গেছেন শুনে হঠাৎ তার প্রসব-বেদনা শুরু হল। হাঁটুর উপর বসে সে প্রসব করল।
20 সে তখন মারা যাচ্ছিল বলে যে স্ত্রীলোকেরা তার কাছে ছিল তারা তাকে বলল, “ভয় নেই, তোমার ছেলে হয়েছে।” কিন্তু সে এর কোন উত্তরও দিল না এবং কোন কথায় মনোযোগও দিল না।
21 ঈশ্বরের সিন্দুক শত্রুদের হাতে যাবার দরুন এবং তার স্বামী ও শ্বশুর মারা যাবার দরুন সে বলল, “ইস্রায়েলীয়দের গৌরব চলে গেল।” সেইজন্য সে ছেলেটির নাম রাখল ঈখাবোদ।