4 এই অংশে ধূপ জ্বালাবার জন্য সোনার বেদী ও সাক্ষ্য-সিন্দুক ছিল। তার চারদিক সোনা দিয়ে মুড়ানো ছিল। তার মধ্যে ছিল সোনার পাত্রে রাখা মান্না, হারোণের যে লাঠিতে ফুল ফুটেছিল সেই লাঠিটা, আর ব্যবস্থা-লেখা দু’টা পাথরের ফলক।
5 সেই সিন্দুকের উপরে ঈশ্বরের মহিমায় পূর্ণ দু’টি সোনার করূব ছিল। তাদের ডানাগুলো সেই সিন্দুকের ঢাকনার উপরে মেলে দেওয়া ছিল। এই ঢাকনার উপর পাপ ঢাকা দেওয়া হত। অবশ্য এই সবের খুঁটিনাটির কথা বলা এখন সম্ভব নয়।
6 এইভাবে সব কিছু তৈরী হবার পর পুরোহিতেরা প্রায়ই তাম্বুর প্রথম অংশটিতে ঢুকে ঈশ্বরের সেবা করতেন;
7 কিন্তু দ্বিতীয় অংশটিতে, অর্থাৎ মহাপবিত্র স্থানে কেবলমাত্র মহাপুরোহিতই ঢুকতেন। বছরে মাত্র একবারই তিনি উৎসর্গ করা পশুর রক্ত নিয়ে সেখানে ঢুকতেন। তাঁর নিজের পাপের জন্য এবং লোকেরা না জেনে যে সব পাপ করেছে তার জন্য তিনি এই রক্ত উৎসর্গ করতেন।
8 এতে পবিত্র আত্মা দেখিয়ে দিচ্ছেন যে, যতদিন এই উপাসনা-তাম্বুটা থাকবে ততদিন সেই মহাপবিত্র স্থানে ঢুকবার পথ খোলা থাকবে না।
9 বর্তমান কালের জন্য এটা একটা চিহ্ন যা আমাদের বলে দিচ্ছে যে, উৎসর্গ করা পশু এবং অন্যান্য জিনিস উপাসনাকারীর বিবেককে পরিষ্কার করতে পারে না।
10 সেগুলো কেবল দেহের ব্যাপার, অর্থাৎ খাওয়া- দাওয়া ও ধর্মের নিয়ম মত শুচি হবার ব্যাপার মাত্র। কেবল সব কিছু সংশোধনের সময় পর্যন্ত সেগুলো কাজে লেগেছিল।