1 শেষে বলি, আমার ভাইয়েরা, তোমরা প্রভুর সংগে যুক্ত আছ বলে আনন্দ কর। তোমাদের কাছে আবার একই কথা লিখতে আমার কোন কষ্ট হচ্ছে না, আর তোমাদের সতর্ক করবার জন্য তা করা ভাল।
2 ঐ কুকুরগুলো থেকে, অর্থাৎ যারা মন্দ কাজ করে এবং দেহের কাটা-ছেঁড়া করাবার উপর জোর দেয় তাদের থেকে সাবধান!
3 আমরাই সত্যিকারের সুন্নত-করানো লোক, কারণ আমরা ঈশ্বরের আত্মার সাহায্যে তাঁর উপাসনা করি এবং খ্রীষ্ট যীশুকে নিয়ে গর্ব বোধ করি আর বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠানের উপর নির্ভর করি না।
4 আমি অবশ্য তা করতে পারতাম। যদি কেউ মনে করে যে, আচার-অনুষ্ঠানের উপর নির্ভর করবার তার কারণ আছে তবে সে জানুক যে, আমার তার চেয়ে আরও বেশী কারণ আছে।
5 আট দিনের দিন আমাকে সুন্নত করানো হয়েছিল; ইস্রায়েল জাতির মধ্যে বিন্যামীনের বংশে আমার জন্ম; আমি একজন খাঁটি ইব্রীয়; মোশির আইন-কানুন পালনের ব্যাপারে আমি একজন ফরীশী;
6 ধর্মের ব্যাপারে আমি এমন গোঁড়া ছিলাম যে, খ্রীষ্টের মণ্ডলীর উপর আমি অত্যাচার করতাম; আর ঈশ্বরের গ্রহণযোগা্য হবার আশায় মোশির আইন-কানুন পালনের ব্যাপারে কেউ আমার নিন্দা করতে পারত না।
7 কিন্তু তাতে আমার যে সব লাভ হয়েছিল খ্রীষ্টের জন্য আমি এখন সেগুলোকে ক্ষতি বলেই মনে করি।
8-9 আসলে যাঁর জন্য আমি এই সব ক্ষতি স্বীকার করেছি আমার সেই প্রভু খ্রীষ্ট যীশুকে জানবার মধ্যে যে তুলনাহীন আশীর্বাদ রয়েছে, তার পাশে আর সব কিছুকেই আমি ক্ষতি বলে মনে করি। খ্রীষ্টকে যাতে আমি লাভ করতে পারি এবং আমাকে যাতে খ্রীষ্টের সংগে যুক্ত দেখা যায় সেইজন্য আমি সেগুলোকে আবর্জনা বলে মনে করি। আইন-কানুন পালন করবার দরুন যে আমি নির্দোষ তা নয়, কিন্তু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাসের দরুন ঈশ্বর আমাকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করেছেন। এই নির্দোষিতা ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে এবং তা বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে।
10 আমি খ্রীষ্টকে জানতে চাই এবং যে শক্তির দ্বারা তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করা হয়েছিল সেই শক্তিকে জানতে চাই। আমি তাঁর দুঃখ-কষ্টের ভাগী হতে চাই। মোট কথা, যে মনোভাব নিয়ে তিনি মরেছিলেন আমিও সেই রকম মনোভাব পেতে চাই।
11 সেইজন্য যা-ই হোক না কেন আমি নিশ্চয়ই মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠব।
12 আমি যে জন্য চেষ্টা করছি তা এখনই যে পেয়ে গেছি কিম্বা পূর্ণতা লাভ করে ফেলেছি এমন নয়। কিন্তু যে জন্য খ্রীষ্ট যীশু আমাকে ধরেছিলেন সেটাই ধরবার জন্য আমি ছুটে চলেছি।
13-14 ভাইয়েরা, আমি যে সেটা ধরতে পেরেছি তা মনে করি না। তবে একটা কাজ আমি করছি-পিছনের সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে সব শক্তি দিয়ে আমি শেষ সীমার দিকে ছুটে চলেছি। এতে যেন খ্রীষ্ট যীশুর মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের স্বর্গমুখী ডাকের মধ্যে যে পুরস্কার রয়েছে তা আমি পাই।
15 এইজন্য আমরা যারা পূর্ণতার দিকে অনেকটা এগিয়ে গেছি আমাদের সেই একই রকম মনোভাব থাকা উচিত। আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের অন্য রকম মনোভাব থাকে তবে ঈশ্বর তোমাদের তাও দেখিয়ে দেবেন।
16 যাহোক, আমরা পূর্ণতার দিকে যতদূর এগিয়ে গেছি সেই অনুসারেই আমাদের চলা উচিত।
17 ভাইয়েরা, তোমরা সবাই আমার মত করে চল, আর যারা এইভাবে চলাফেরা করে তাদের চিনে রাখ। কিভাবে চলতে হয় তা আমরা তোমাদের দেখিয়েছি।
18 আমি তোমাদের বারবারই বলেছি আর এখন চোখের জলের সংগে আবার বলছি যে, এমন অনেকে আছে যারা খ্রীষ্টের ক্রুশের শত্রুর মত চলাফেরা করছে।
19 তাদের ভাগ্যে আছে ধ্বংস; পেটই তাঁদের ঈশ্বর; যা লজ্জার বিষয় তা-ই নিয়ে তারা গর্ব করে; আর কেবল জাগতিক ব্যাপারেই তাদের মন পড়ে আছে।
20 কিন্তু আমাদের আসল বাসস্থান তো স্বর্গ; সেখান থেকে আমাদের উদ্ধারকর্তা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আসবার জন্য আমরা আগ্রহের সংগে অপেক্ষা করছি।
21 তিনি আমাদের দুর্বলতায় ভরা দেহ বদলিয়ে তাঁর মহিমাপূর্ণ দেহের মত করবেন। যে শক্তির দ্বারা তিনি সব কিছু নিজের অধীনে আনেন সেই শক্তির দ্বারাই তিনি এই কাজ করবেন।