1 আমি যদি মানুষের এবং স্বর্গদূতদের ভাষায় কথা বলি কিন্তু আমার মধ্যে ভালবাসা না থাকে, তবে আমি জোরে বাজানো ঘণ্টা বা ঝনঝন করা করতাল হয়ে পড়েছি।
2 যদি নবী হিসাবে কথা বলবার ক্ষমতা আমার থাকে, যদি আমি সমস্ত গুপ্ত সত্যের বিষয় বুঝতে পারি, আর যদি আমার সব রকম জ্ঞান থাকে, এমন কি, পাহাড়কে পর্যন্ত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দেবার মত পূর্ণ বিশ্বাস থাকে, কিন্তু আমার মধ্যে ভালবাসা না থাকে, তবে আমার কোনই মূল্য নেই।
3 আমার যা কিছু আছে তা যদি আমি গরীবদের খাওয়াবার জন্য দান করি, এমন কি, দেহটাও পোড়াবার জন্য দিয়ে দিই, কিন্তু আমার মধ্যে যদি ভালবাসা না থাকে, তবে আমার কোনই লাভ নেই।
4 ভালবাসা সব সময় ধৈর্য ধরে, দয়া করে, হিংসা করে না, গর্ব করে না, অহংকার করে না,
5 খারাপ ব্যবহার করে না, নিজের সুবিধার চেষ্টা করে না, রাগ করে না, কারও মন্দ ব্যবহারের কথা মনে রাখে না,
6 মন্দ কিছু নিয়ে আনন্দ করে না বরং যা সত্য তাতে আনন্দ করে।
7 ভালবাসা সব কিছুই সহ্য করে, সকলকেই বিশ্বাস করতে আগ্রহী, সব কিছুতে আশা রাখে আর সব অবস্থায় স্থির থাকে।
8 এই ভালবাসা কখনও শেষ হয় না। নবী হিসাবে কথা বলবার যে ক্ষমতা আছে তা শেষ হয়ে যাবে; বিভিন্ন ভাষায় কথা বলবার যে ক্ষমতা আছে তা চলে যাবে; জ্ঞান আছে, তাও শেষ হয়ে যাবে;
9 কারণ আমরা সব বিষয় পুরোপুরি ভাবে জানি না, নবী হিসাবেও পুরোপুরি ভাবে কথা বলতে পারি না।
10 কিন্তু যা পূর্ণ তা যখন আসবে তখন যা পূর্ণ নয় তা শেষ হয়ে যাবে।
11 আমি যখন শিশু ছিলাম তখন শিশুর মত কথা বলতাম, শিশুর মত চিন্তা করতাম আর শিশুর মত বিচারও করতাম। এখন আমার বয়স হয়েছে, তাই শিশুর আচার-ব্যবহারগুলো বাদ দিয়েছি।
12 আমরা এখন যেন আয়নায় অস্পষ্ট দেখছি, কিন্তু তখন সামনাসামনি দেখতে পাব। আমি এখন যা জানি তা অসম্পূর্ণ, কিন্তু ঈশ্বর আমাকে যেমন সম্পূর্ণভাবে জানেন তখন আমি তেমনি সম্পূর্ণভাবে জানতে পারব।
13 তাহলে দেখা যাচ্ছে বিশ্বাস, আশা আর ভালবাসা-এই তিনটিই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে; কিন্তু এগুলোর মধ্যে ভালবাসাই সবচেয়ে বড়।