1 পবিত্র আত্মা পরিষ্কার ভাবে বলেছেন, ভবিষ্যতে কিছু লোক খ্রীষ্টীয় ধর্ম-বিশ্বাস থেকে দূরে সরে যাবে এবং ছলনাকারী আত্মা ও মন্দ আত্মাদের শিক্ষার দিকে ঝুঁকে পড়বে।
2 বিবেক অসাড় হয়ে গেছে এমন সব মিথ্যাবাদী লোকদের ভণ্ডামির জন্য এই রকম হবে।
3 এরা মানুষকে বিয়ে না করবার আদেশ দেয় এবং কোন কোন খাবার খেতে মানা করে। কিন্তু বিশ্বাসীরা, যারা ঈশ্বরের সত্যকে জেনেছে, তারা যেন ধন্যবাদ দিয়ে খায় সেইজন্যই তো ঈশ্বর এই সব খাবার সৃষ্টি করেছেন।
4 ঈশ্বরের সৃষ্ট প্রত্যেকটি জিনিস ভাল, তাই কোন জিনিস খারাপ মনে করে বাদ দেওয়া উচিত নয়; কিন্তু তা যেন ধন্যবাদ দিয়ে গ্রহণ করা হয়,
5 কারণ ঈশ্বরের বাক্য ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে তা শুচি হয়।
6 যদি তুমি এই সব বিষয় ভাইদের বুঝিয়ে দাও তবে খ্রীষ্টীয় ধর্ম-বিশ্বাসের যে সত্য ও নির্ভুল শিক্ষা তুমি মেনে চলেছ, তাতে পাকা হয়ে খ্রীষ্ট যীশুর একজন উপযুক্ত সেবাকারী হবে।
7 ঈশ্বরের প্রতি ভক্তিহীন গল্প-কথা থেকে দূরে থাক; ওগুলো তো বুড়ীদের বানানো গল্পের মত। তার চেয়ে বরং ঈশ্বরভক্তির অভ্যাস কর।
8 শারীরিক ব্যায়ামে কিছু লাভ হয় বটে, কিন্তু ঈশ্বরভক্তিতে সব দিক থেকে লাভ হয়; তাতে এই জীবন এবং পরজীবনের জন্য আশ্বাস রয়েছে।
9 এই কথা বিশ্বাসযোগ্য এবং সম্পূর্ণভাবে গ্রহণেরও যোগ্য।
10 এইজন্যই আমরা প্রাণপণে পরিশ্রম করছি এবং আগ্রহের সংগে কাজ করছি, কারণ জীবন্ত ঈশ্বরের উপরে আমরা আশা রেখেছি। তিনিই সব মানুষের উদ্ধারকর্তা, বিশেষভাবে তাদের যারা তাঁকে বিশ্বাস করে।
11 তুমি এই সব বিষয়ে আদেশ ও শিক্ষা দাও।
12 তুমি যুবক বলে কেউ যেন তোমাকে তুচ্ছ না করে। কথায়, চালচলনে, ভালবাসায়, বিশ্বাসে এবং পবিত্রতায় তুমি বিশ্বাসীদের কাছে আদর্শ হও।
13 আমি না আসা পর্যন্ত তুমি বিশ্বাসীদের পবিত্র শাস্ত্র পড়ে শোনানো, প্রচার করা ও শিক্ষা দেওয়ার কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখ।
14 মণ্ডলীর নেতারা যখন তোমার উপরে তাঁদের হাত রেখেছিলেন তখন নবী হিসাবে কথা বলবার মধ্য দিয়ে যে বিশেষ দান তোমাকে দেওয়া হয়েছিল সেই দান তুমি অবহেলা কোরো না।
15 এই সব বিষয়ে মনোযোগী হও; নিজেকে সম্পূর্ণভাবে তার মধ্যে ডুবিয়ে রাখ, যেন সবাই দেখতে পায় যে, তুমি এগিয়ে যাচ্ছ।
16 তোমার নিজের বিষয়ে এবং তোমার শিক্ষার বিষয়ে সতর্ক থাক। এই সব করতে থাক, কারণ তাতে তুমি নিজেকে রক্ষা করতে পারবে এবং যারা তোমার কথা শুনবে তাদেরও রক্ষা করতে পারবে।