1 আমরা এই কথা জানি যে, এই পৃথিবীতে যে তাম্বুতে আমরা বাস করি, অর্থাৎ যে দুর্বল দেহে আমরা আছি তা যদি নষ্ট হয়ে যায় তবুও ঈশ্বরের দেওয়া একটা ঘর আমাদের আছে। এই ঘর মানুষের হাতের তৈরী নয়, তা স্বর্গে চিরকাল ধরেই আছে।
2 এই দেহে থাকা অবস্থায় আমরা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলছি এবং সমস্ত অন্তর দিয়ে চাইছি যেন স্বর্গের সেই নতুন দেহ দিয়ে আমাদের ঢাকা হয়;
3 কারণ এই কথা সত্যি যে, সেই দেহ পেলে পর দেখা যাবে যে, আমরা উলংগ নই।
4 সত্যিই এই দুর্বল দেহে থাকা অবস্থায় আমরা বোঝার ভারে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলছি। আমরা যে দেহহীন হতে চাই তা নয়, বরং সেই নতুন দেহ দিয়ে ঢাকা হতে চাই, যেন আমাদের মৃত্যুর অধীন দেহ চিরকাল জীবিত থাকা দেহে বদলে যায়।
5 এরই জন্য ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তারই প্রথম অংশ হিসাবে তিনি পবিত্র আত্মাকে আমাদের দিয়েছেন।
6 এইজন্য কখনও আমাদের সাহসের অভাব হয় না, আর আমরা বুঝতে পারছি যে, যতদিন আমরা এই দেহের ঘরে বাস করব ততদিন প্রভুর কাছ থেকে দূরে থাকব।
7 যা দেখা যায় আমরা তো তার দ্বারা চলি না, বরং বিশ্বাসের দ্বারা চলাফেলা করি।
8 আমাদের সাহস আছে আর আমরা দেহের ঘর থেকে দূর হয়ে প্রভুর সংগে বাস করাই ভাল মনে করি।
9 সেইজন্য আমরা দেহের ঘরে বাস করি বা না করি, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রভুকে খুশী করা।
10 এর কারণ হল, খ্রীষ্টের বিচার-আসনের সামনে আমাদের সকলের সব কিছু প্রকাশ করা হবে, যেন আমরা প্রত্যেকে এই দেহে থাকতে যা কিছু করেছি, তা ভাল হোক বা মন্দ হোক, সেই হিসাবে তার পাওনা পাই।
11 প্রভুকে ভয় করি বলে আমরা নিজেদের সম্বন্ধে মানুষের মনে বিশ্বাস জন্মাবার চেষ্টা করি। আমরা যা, তা তো ঈশ্বরের কাছে স্পষ্ট এবং আমি আশা করি তোমাদের বিবেকের কাছেও তা স্পষ্ট।
12 এতে অবশ্য আমরা তোমাদের কাছে আবার নিজেদের প্রশংসা করছি না বরং আমাদের নিয়ে তোমাদের গর্ববোধ করবার কারণ দেখাচ্ছি, যেন অন্তর না দেখে যারা বাইরের চেহারা দেখে গর্ববোধ করে তাদের তোমরা একটা জবাব দিতে পার।
13 যদি আমরা পাগল হয়ে গিয়ে থাকি তবে তা ঈশ্বরের জন্যই হয়েছি, আর যদি সুস্থ মনে থাকি তবে তা তোমাদের জন্যই রয়েছি।
14 খ্রীষ্টের ভালবাসাই আমাদের বশে রেখে চালাচ্ছে, কারণ আমরা নিশ্চয় করে বুঝেছি যে, সকলের হয়ে একজন মরলেন, আর সেইজন্য সকলেই মরল।
15 তিনি সবার হয়ে মরেছিলেন যেন যারা জীবিত আছে তারা আর নিজেদের জন্য বেঁচে না থাকে, বরং যিনি তাদের জন্য মরেছিলেন ও জীবিত হয়েছেন তাঁরই জন্য বেঁচে থাকে।
16 সেইজন্য এখন থেকে মানুষকে আমরা আর তার বাইরের অবস্থা দেখে বিচার করি না। অবশ্য খ্রীষ্টকে আমরা আগে সেইভাবেই বিচার করেছিলাম, কিন্তু এখন আর তা করি না।
17 যদি কেউ খ্রীষ্টের সংগে যুক্ত হয়ে থাকে তবে সে নতুনভাবে সৃষ্ট হল। তার পুরানো সব কিছু মুছে গিয়ে সব নতুন হয়ে উঠেছে।
18 এই সব ঈশ্বর থেকেই হয়। তিনি খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে তাঁর নিজের সংগে আমাদের মিলিত করেছেন, আর তাঁর সংগে অন্যদের মিলন করিয়ে দেবার দায়িত্ব আমাদের উপর দিয়েছেন।
19 এর অর্থ হল, ঈশ্বর মানুষের পাপ না ধরে খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে নিজের সংগে মানুষকে মিলিত করছিলেন, আর সেই মিলনের খবর জানাবার ভার তিনি আমাদের উপর দিয়েছেন।
20 সেইজন্যই আমরা খ্রীষ্টের দূত হিসাবে তাঁর হয়ে কথা বলছি। আসলে ঈশ্বর যেন নিজেই আমাদের মধ্য দিয়ে লোকদের কাছে অনুরোধ করছেন। তাই খ্রীষ্টের হয়ে আমরা এই মিনতি করছি, “তোমরা ঈশ্বরের সংগে মিলিত হও।”
21 যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে কোন পাপ ছিল না; কিন্তু ঈশ্বর আমাদের পাপ তাঁর উপর তুলে দিয়ে তাঁকেই পাপের জায়গায় দাঁড় করালেন, যেন খ্রীষ্টের সংগে যুক্ত থাকবার দরুন ঈশ্বরের পবিত্রতা আমাদের পবিত্রতা হয়।