14 আর তিনি বললেন, হে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, বেহেশতে বা দুনিয়াতে তোমার মত আর আল্লাহ্ নেই? সর্বান্তঃকরণে যারা তোমার সাক্ষাতে চলে, তোমার সেই গোলামদের পক্ষে তুমি নিয়ম পালন ও অটল মহব্বত প্রকাশ করে থাক;
15 তুমি তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে যা ওয়াদা করেছিলে, তা পালন করেছ, যা নিজের মুখে বলেছিলে, তা তুমি সিদ্ধ করেছ, যেমন আজ দেখা যাচ্ছে।
16 এখন, হে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, তুমি তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে যা ওয়াদা করেছিলে তা রক্ষা কর। তুমি বলেছিলে, আমার দৃষ্টিতে ইসরাইলের সিংহাসনে বসতে তোমার (বংশে) লোকের অভাব হবে না, কেবল যদি আমার সাক্ষাতে তুমি যেমন চলেছ, তোমার সন্তানেরা আমার সাক্ষাতে তেমনি চলবার জন্য যার যার পথে সাবধান থাকে।
17 এখন, হে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, তোমার গোলাম দাউদের কাছে যে কথা তুমি বলেছিলে, তা দৃঢ় হোক।
18 কিন্তু আল্লাহ্ কি সত্য সত্যিই দুনিয়াতে মানুষের সঙ্গে বাস করবেন? দেখ, বেহেশত ও বেহেশতের বেহেশত তোমাকে ধারণ করতে পারে না, তবে আমার নির্মিত এই গৃহ কি পারবে?
19 তবুও হে মাবুদ, আমার আল্লাহ্, তুমি তোমার গোলামের মুনাজাতে ও বিনতিতে মনোযোগ দাও, তোমার গোলাম তোমার কাছে যে কাতরোক্তি ও মুনাজাত করছে, তা শোন।
20 যে স্থানের বিষয়ে তুমি বলেছ যে, তোমার নাম সেই স্থানে রাখবে, সেই স্থানের অর্থাৎ এই গৃহের প্রতি তোমার চোখ দিনরাত উন্মীলিত থাকুক এবং এই স্থানের জন্য তোমার গোলাম যে মুনাজাত করে, তা শুনো।