6 এর পর এলিয় তাঁকে বললেন, “তুমি এখানে থাক; সদাপ্রভু আমাকে যর্দন নদীর পারে যেতে বলেছেন।”উত্তরে তিনি বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য ও আপনার প্রাণের দিব্য যে, আমি আপনাকে ছেড়ে যাব না।” কাজেই তাঁরা দু’জন চলতে লাগলেন।
7 এলিয় ও ইলীশায় যর্দন নদীর ধারে গিয়ে থামলেন আর তাঁদের কাছ থেকে কিছু দূরে পঞ্চাশজন শিষ্য-নবী এসে দাঁড়ালেন।
8 এলিয় তাঁর গায়ের চাদরটা গুটিয়ে নিয়ে তা দিয়ে জলের উপর আঘাত করলেন। তাতে জল ডানে ও বাঁয়ে দু’ভাগ হয়ে গেল আর তাঁরা দু’জনে শুকনা মাটির উপর দিয়ে পার হয়ে গেলেন।
9 পার হয়ে এসে এলিয় ইলীশায়কে বললেন, “আমাকে বল, তোমার কাছ থেকে আমাকে তুলে নেবার আগে আমি তোমার জন্য কি করব?”উত্তরে ইলীশায় বললেন, “আপনার আত্মার দ্বিগুন আত্মা যেন আমি পাই।”
10 এলিয় বললেন, “তুমি একটা কঠিন জিনিস চেয়েছ। তবুও তোমার কাছ থেকে আমাকে নিয়ে যাবার সময় যদি তুমি আমাকে দেখতে পাও তবে তুমি তা পাবে; যদি দেখতে না পাও তবে পাবে না।”
11 তাঁরা কথা বলতে বলতে চলেছেন এমন সময় হঠাৎ একটা আগুনের রথ ও আগুনের কতগুলো ঘোড়া এসে তাঁদের দু’জনকে আলাদা করে দিল এবং এলিয় একটা ঘূর্ণিবাতাসে করে স্বর্গে চলে গেলেন।
12 ইলীশায় তা দেখে চিৎকার করে বললেন, “হে আমার পিতা, আমার পিতা, দেখুন, ইস্রায়েলের রথ ও ঘোড়সওয়ার।” এর পর ইলীশায় আর তাঁকে দেখতে পেলেন না। তখন তিনি নিজের কাপড় ধরে ছিঁড়ে দু’ভাগ করলেন।