7 ইস্রায়েলের রাজা সেই চিঠি পড়েই তাঁর কাপড় ছিঁড়ে বললেন, “আমি কি ঈশ্বর? আমি কি মেরে ফেলে আবার জীবন দিতে পারি? চর্মরোগ থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য কেন এই লোকটি আমার কাছে একজনকে পাঠিয়েছে? দেখ, কিভাবে সে আমার সংগে ঝগড়া বাধাবার চেষ্টা করছে।”
8 ঈশ্বরের লোক ইলীশায় যখন শুনলেন যে, ইস্রায়েলের রাজা কাপড় ছিঁড়েছেন তখন তিনি তাঁকে এই সংবাদ পাঠালেন, “কেন আপনি আপনার কাপড় ছিঁড়েছেন? লোকটিকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। তাতে সে জানতে পারবে যে, ইস্রায়েলে একজন নবী আছে।”
9 কাজেই নামান তাঁর সব রথ ও ঘোড়া নিয়ে ইলীশায়ের বাড়ীর দরজার কাছে গিয়ে থামলেন।
10 ইলীশায় একজন লোক দিয়ে তাঁকে বলে পাঠালেন, “আপনি গিয়ে সাতবার যর্দন নদীতে স্নান করুন। তাতে আপনি সুস্থ ও শুচি হবেন।”
11 কিন্তু নামান ভীষণ রাগ করে সেখান থেকে চলে গেলেন এবং বললেন, “আমি ভেবেছিলাম তিনি নিশ্চয়ই বের হয়ে আমার কাছে আসবেন এবং দাঁড়িয়ে তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ডাকবেন আর চর্মরোগের জায়গার উপরে তাঁর হাত দুলিয়ে আমার চর্মরোগ ভাল করে দেবেন।
12 দামেস্কের অবানা ও পর্পর নদী কি ইস্রায়েলের সমস্ত নদীর জলের চেয়ে ভাল নয়? সেখানে স্নান করে কি আমি শুচি হতে পারতাম না?” এই বলে তিনি রাগ করে ফিরে চললেন।
13 নামানের দাসেরা তখন তাঁর কাছে গিয়ে বলল, “হুজুর, ঐ নবী যদি আপনাকে কোন মহৎ কাজ করতে বলতেন তাহলে কি আপনি তা করতেন না? তবে তিনি যখন আপনাকে স্নান করে শুচি হতে বলেছেন তা কি আপনার বেশী করে করা উচিৎ নয়?”