29 কাজেই আমরা আমার ছেলেকে রান্না করে খেয়েছি। পরের দিন আমি তাকে বললাম, ‘এবার তোমার ছেলেকে আমাদের খেতে দাও।’ কিন্তু সে তাকে লুকিয়ে রেখেছে।”
30 স্ত্রীলোকটির কথা শুনে রাজা তাঁর পোশাক ছিঁড়লেন। তিনি তখনও দেয়ালের উপর দিয়ে হাঁটছিলেন। তাতে লোকেরা দেখতে পেল যে, তাঁর পোশাকের তলায় তিনি ছালার চট পরে আছেন।
31 তিনি বললেন, “আজ যদি শাফটের ছেলে ইলীশায়ের মাথা তাঁর কাঁধের উপর থাকে তবে ঈশ্বর যেন আমাকে শাস্তি দেন, আর তা ভীষণভাবেই দেন!”
32 ইলীশায় তখন তাঁর ঘরে বসে ছিলেন আর তাঁর সংগে ছিলেন বৃদ্ধ নেতারা। রাজা একজন লোককে ইলীশায়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, কিন্তু লোকটা সেখানে পৌঁছাবার আগেই ইলীশায় বৃদ্ধ নেতাদের বললেন, “আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন না সেই খুনী আমার মাথা কেটে ফেলবার জন্য কিভাবে একজন লোককে পাঠাচ্ছে? দেখুন, লোকটা আসলে পর আপনারা দরজাটা বন্ধ করে দেবেন এবং তার সামনে দরজাটা বন্ধই রাখবেন। তার পিছন পিছন কি তার মনিবের পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে না?”
33 ইলীশায় তখনও কথা বলছেন এমন সময় সেই লোকটি তাঁর কাছে আসল। তারপর রাজা এসে বললেন, “এই বিপদ সদাপ্রভুর কাছ থেকেই এসেছে। তবে সদাপ্রভুর জন্য আর আমি দেরি করব কেন?”