10 তবে তাকে ঈশ্বরের ক্রোধের মদ খেতে হবে। এই মদের সংগে জল না মিশিয়ে ঈশ্বরের ক্রোধের পেয়ালায় ঢেলে দেওয়া হয়েছে। পবিত্র স্বর্গদূতদের এবং মেষ-শিশুর সামনে আগুন ও গন্ধকের দ্বারা সেই লোককে যন্ত্রণা দেওয়া হবে।
11 যে আগুন এই লোকদের যন্ত্রণা দেবে সেই আগুনের ধূমা চিরকাল ধরে উঠতে থাকবে। যে লোক সেই জন্তু ও তার মূর্তির পূজা করবে এবং তার নামের চিহ্ন গ্রহণ করবে সে দিনে বা রাতে কখনও বিশ্রাম পাবে না।”
12 যারা ঈশ্বরের আদেশ পালন করে এবং যীশুর প্রতি বিশ্বস্ত থাকে ঈশ্বরের সেই লোকদের এই অবস্থার মধ্যে ধৈর্যের দরকার।
13 তারপর আমি একজনকে স্বর্গ থেকে বলতে শুনলাম, “এই কথা লেখ-এখন থেকে যারা প্রভুর সংগে যুক্ত হয়ে মারা যাবে তারা ধন্য।”পবিত্র আত্মা এই কথা বলছেন, “হ্যাঁ, তারা ধন্য। তাদের পরিশ্রম থেকে তারা বিশ্রাম পাবে, কারণ তাদের কাজের ফল তাদের সংগে থাকবে।”
14 পরে আমি তাকিয়ে একটা সাদা মেঘ দেখলাম, আর সেই মেঘের উপরে মনুষ্যপুত্রের মত কেউ একজন বসে ছিলেন। তাঁর মাথায় জয়ের সোনার মুকুট ছিল আর হাতে ছিল ধারালো কাস্তে।
15 তারপর আর একজন স্বর্গদূত উপাসনা-ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন এবং যিনি সেই মেঘের উপরে বসে ছিলেন তাঁকে জোরে চিৎকার করে বললেন, “আপনার কাস্তে লাগান, ফসল কাটুন, কারণ ফসল কাটবার সময় হয়েছে; পৃথিবীর ফসল পুরোপুরি পেকে গেছে।”
16 তখন যিনি সেই মেঘের উপরে বসে ছিলেন তিনি পৃথিবীতে তাঁর কাস্তে লাগালেন, আর পৃথিবীর ফসল কাটা হল।